স্পোর্টস ডেস্ক : দুপুর দেড়টা বাজেনি তখনও। টিভি সম্প্রচারকারীদের অনুরোধে মিনিট দশেক আগেই মাশরাফি বিন মর্তুজা চলে গেলেন মাঠে। টসের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিলো তখন। সেই সুযোগে টাইগার অধিনায়কের বিশেষ এক সাক্ষাৎকার নিয়ে নিলেন পুরো সিরিজেই ধারাভাষ্যের দায়িত্বে থাকা সাবেক জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার টিনো মাওয়ায়ো।
সেই সাক্ষাৎকার শেষ করে মাশরাফি এগিয়ে গেলেন টসের জন্য। স্বাগতিক অধিনায়ক হওয়ায় তিনিই কয়েন ছুড়ে মারলেন আকাশে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটিই তার শেষ টস। বরাবর টস ভাগ্য ভালো হলেও, এবার হয়নি। কয়েন যুদ্ধে জেতেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, সিদ্ধান্ত নেন আগে বোলিংয়ের। যা পছন্দ হয় টাইগার অধিনায়ক মাশরাফিরও।
এরপর ধীর পায়ে হেঁটে ঢুকে যান প্যাভিলিয়নে। গ্যালারি থেকে তখন তুমুল স্লো’গা’ন চলছে ‘মাশরাফি, মাশরাফি’ ধ্বনিতে। টস শেষে ফেরা থেকে শুরু করে প্যাভিলিয়নে ঢোকা পর্যন্ত এই স্লো’গা’ন থামেনি এক মুহূর্তের জন্য। পরে আবার মাশরাফি বের হন দলের সঙ্গে, ওয়ানডে ক্যাপ তুলে দেন অভিষিক্ত নাঈম হোসেনের মাথায়। একইদিন অভিষেক হয়েছে আফিফ হোসেনেরও।
টিনোকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বিশেষ এক বার্তা দিয়েছেন আফিফ-নাঈমের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য মাশরাফি তখন বলেন, ”ওরা (তরুণ খেলোয়াড়রা) খেলাটাকে ভালোবাসে। ওদের জন্য কোনো বার্তা যদি বলেন, তাহলে বলবো-যাতে দেশটাকে ভালোবাসে এবং দেশের জন্য পরবর্তী ১০ বছর খেলার জন্য সংকল্পবদ্ধ থাকে।”
একইসঙ্গে তিনি জানান, খেলার প্রতি ভালোবাসা ও দর্শকদের জন্য খেলাটাই তার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। মাশরাফি বলেন, ‘খেলাটার ব্যাপারে দুইটি বিষয় বলবো। প্রথমত হচ্ছে আমি ক্রিকেট ভালোবাসি। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে দর্শকরা। আমরা হারি বা জিতি, তারা (দর্শক) সবসময় আমাদের সমর্থন দিয়ে গেছে। খেলাটাকে ভালোবাসা এবং সমর্থকদের জন্য খেলাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।’
মাশরাফি অ’স্বী’কার করেননি, অধিনায়কত্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার সময় আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছে তাকেও। তবে তিনি জোর দেন দল হিসেবে বেড়ে ওঠার দিকেই। অধিনায়ক বলেন, ”গত পাঁচ-ছয় বছর আমার এবং আমার দলের জন্য ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। অবশ্যই আবেগ থাকবে এখানে। গত ছয় বছরে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত আছে, অনেক ভালো-খারাপ সময় গেছে। তবে আমরা শুধু এটাই মাথায় রাখতে চাচ্ছি যে দল হিসেবে কীভাবে নিজেদের গড়ে তুলেছি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।