জুমবাংলা ডেস্ক : গাঁজার চাষকে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে ১০ লাখ চারা বিতরণ করা হবে। আর এই বিতরণের কাজটি করবে খোদ সরকার। তবে এটি বাংলাদেশে নয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে। নিজ বাড়িতে লাগানোর জন্য এই চারা দেওয়া হবে। আর শুধু চিকিৎসার প্রয়োজনে এই গাঁজা ব্যবহার করা যাবে।
গত ৮ মে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চরণকুল এক ভিডিও বার্তায় চারা বিতরণের এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। খবর- সিএনএনের।
খবর অনুসারে, দেশে গাঁজার চাষকে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে চারা বিতরণের এই কমর্সূচি নিয়েছে থাই সরকার। কর্মসূচির আওতায় আগামী জুন মাসে সারাদেশে ১০ লাখ চারা বিতরণ করা হবে। এসব চারা হবে ওষুধি গুণসম্পন্ন প্রজাতির (Medical Grade)। নিজ নিজ বাড়িতে লাগানোর জনগণকে এই চারা দেবে সরকার। তবে কিছু শর্ত পরিপালন করেই কেবল এই চারা লাগানো যাবে।
বাড়িতে গাঁজার চারা লাগানোর আগে অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। উৎপাদিত গাঁজা কেবল চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা যাবে। নিজের প্রয়োজন মেটানোর বাইরে এটি ব্যবহার করা যাবে না। কোনোভাবেই এই গাঁজা বিক্রি করা যাবে না।
বাড়িতে গাঁজা চাষের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন সংশোধন করা হচ্ছে থাইল্যান্ডে। সংশোধিত আইনটি আগামী ৯ জুন কার্যকর হবে। আর তারপর থেকেই চলবে ওই চারা বিতরণ কর্মসূচি।
এদিকে গত ১০ মে ফেসবুকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন আরেকটি পোস্ট দিয়ে উল্লেখ করেছেন, দেশটিতে নিবন্ধিত স্থানীয় কোম্পানিগুলোই কেবল গাঁজা বিক্রি করতে পারবে। তবে এতে সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ২ মাত্রায় টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (tetrahydrocannabinol) থাকতে পারবে।
গাঁজা ও শণ বিক্রি খাত থেকে থেকে সরকার বছরে ১০ বিলিয়ন বাথ আয় করতে পারবে, যা ২৮ কোটি ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলারের সমান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার ফেসবুক পোষ্টে এই আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, অর্থকরী ফসল হিসেবে থাইল্যান্ডে চাষ হবে গাঁজার। একে উৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার যেহেতু দেশটির শ্রমশক্তির তৃতীয়াংশ কৃষিতে নিয়োজিত রয়েছে।
ব্যাংকক-ভিত্তিক গাঁজা ব্যবসার এক উদ্যোক্তা কিটি চোপকা সিএনএনকে জানিয়েছেন, এ আইনটি (ঘরে ঘরে গাঁজা রোপন)পাশ হওয়া মানে লোকজনকে স্বাস্থ্য চিকিৎসায় চা পানে বা স্যুপে ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া।
তিনি আরও জানান, এটা বেআইনী যদি গাঁজার লাগানোর জন্য বৈধ অনুমতি না থাকে, প্রয়োজনে বৈধ অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কেবল অনুমতি পেলেই বাড়িতে তা লাগানো যেতে পারে।
বিশ্বে কিছু দেশ চিকিৎসাজনিত কারণে (Medical Purpose) গাঁজার ব্যবহারকে বৈধ ঘোষণা করলেও বেশিরভাগ দেশে এটি নিষিদ্ধ। থাইল্যান্ডেও ২০১৭ সাল পর্যন্ত এটি নিষিদ্ধ ছিল। দেশটি ২০১৮ সালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গাঁজার ব্যবহারকে বৈধ ঘোষণা করে।
বাংলাদেশের আইনে গাঁজার চাষ, বিক্রি ও সেবন নিষিদ্ধ। এসব কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ। কারণ গাঁজার কিছু ওষুধি গুণ থাকলেও এর যথেষ্ট ক্ষতিকর দিকও আছে। এটি নেশাজাতীয় পণ্য। অধিক গাঁজা গ্রহণ করলে তা শুধু নেশা সৃষ্টি করে না, শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিও ডেকে আনে। তাই থাইল্যান্ড বা অন্য কোনো দেশে গাঁজার বৈধতার খবরে কারো উৎসাহিত হওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।