বিনাসুদে কৃষিঋণ বিতরণ করছে রূপালী ব্যাংক

জুমবাংলা ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দারিদ্রপীড়িত কৃষকদের মাঝে বিনাসুদে কৃষিঋণ বিতরণ করছে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। খবর বাসসের।

গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের টমোটো চাষীদের মধ্যে ‘জিরো কুপন লেন্ডিং’ কর্মসূচির আওতায় কৃষিঋণ বিতরণ শুরু করেছে ব্যাংকটি।

ইতোমধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নাটোরের ৫শ’ টমোটো চাষীকে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ দেয়া হয়েছে। এর বাইরে খাগড়াছড়িতে হলুদ চাষী,বান্দরবনে আনারস,ফরিদপুরে পেঁয়াজ,রাজশাহীতে আম চাষীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হবে।

এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন,‘কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকার প্রত্যাশায় আমরা মুজিব বর্ষে বিনাসুদে কৃষিঋণ বিতরণ করছি। প্রাথমিক প্রকল্প হিসেবে টমোটো চাষীদের ঋণ দেয়া হচ্ছে। ক্রমন্বয়ে সারাদেশের সকল শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের চাষীদের মাঝে বিনাসুদে ঋণ দেয়া হবে।’

বিনাসুদে অন্তত ৫০ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন,বঞ্চিত কৃষককে উৎসাহ দিতেই বিনাসুদে ঋণ দেয়ার এই বিশেষ উদ্যোগ। প্রান্তিক চাষী থেকে ভোক্তা পর্যন্ত দামের যে বড় ব্যবধান এখানে সুদেরও একটা ভূমিকা আছে। তাই আমরা মনে করছি, কৃষক ষদি বিনাসুদে ঋণ পাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের ন্যাষ্যা মূল্য পায়,তাহলে তারা বাড়তি মুনাফা যেমন পাবেন তেমনি সাবলম্বি হয়ে উঠবে।

তিনি জানান,ঋণ বিতরণকারী শাখা,আঞ্চলিক অফিসের প্রতিনিধি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম চারা রোপন থেকে শুরু করে ঋণ আদায় পর্যন্ত তদারকি করবে।

রূপালী ব্যাংক সূত্র জানায়,‘জিরো কুপন লেন্ডিং’ কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি ঋণের মেয়াদ থাকবে ছয় মাস।

গ্রীষ্মকালীন টমোটো ও রবি টমোটো চাষের জন্য বছরে দুইবার ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকটি। রবি চাষের জন্য ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হবে। রবি চাষের জন্য গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবং গ্রীষ্মকালীন সময়ের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৯-২০ অর্থবছরের কৃষিঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকার ঋণ দিয়ে একজন কৃষক ১ দশমিক ২৯ একর জমিতে টমোটো চাষ করতে পারবেন।

বিশেষ এই কৃষিঋণ সহায়ক জামানতমূক্ত। তবে স্বামী বা স্ত্রী অথবা গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি ঋণের জামিনদার হিসেবে থাকতে হবে। কৃষকদের দশ টাকার ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমেই ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ করতে হবে। উৎপাদিত পণ্য বিক্রির অর্থের মাধ্যমে দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কৃষক ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে।