জুমবাংলা ডেস্ক : সম্পূর্ণ বিনা খরচে (জিরো কস্ট মাইগ্রেশন) মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাত ১১টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২০ জনকে নিয়ে কুয়ালালামপপুরের উদ্দেশে উড়াল দেয় মালিন্দো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।
ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং রিক্রুটিং এজেন্সি জেজি আল-ফালাহ ম্যানেজমেন্টের (আরএল-১৮৬১) ব্যবস্থাপনায় তাঁদের পাঠানো হয়েছে।
এসব কর্মী জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) উন্মুক্ত ডাটাবেজ থেকে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্বাচিত। রাজধানীর বসুন্ধরার আই এক্সটেনশনে অবস্থিত ক্যাথারসিস কমপ্লেক্সে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
জেজি আল-ফালাহ ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, ‘আইএলও ফেয়ার রিক্রুটমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’-এর আলোকে উচ্চ অভিবাসন ব্যয় ও মানব পাচার রোধে স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো ‘জিরো কস্ট মাইগ্রেশন’ বা বিনা খরচে অভিবাসন পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগের দিকে দ্রুত ঝুঁকছে। এ ক্ষেত্রে বিদেশগামী কর্মীর পাসপোর্ট থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট পর্যন্ত সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। এ ধরনের অনেকগুলো কোম্পানির সঙ্গে ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে জেজি আলফালাহ ম্যানেজমেন্ট। শিগগির ধাপে ধাপে বিপুল সংখ্যক কর্মী বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেবেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ইন্স্যুরেন্স, বাসস্থানসহ সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন। ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিট বেসিক বেতনে ন্যূন্তম দুই ঘণ্টা ওভারটাইমে একজন কর্মী মাসে আয় করবেন ৫০ হাজার টাকারও বেশি। জিরো কস্ট মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের অভিবাসন খরচ কমবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক মহাসচিব ও ক্যাথারসিসের কর্ণধার রুহুল আমিন স্বপন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।