বিপদের মধ্যে আরেক বিপদের কথা বলি। প্রতারণার নতুন কৌশল শুরু হয়েছে। গভীর রাতে স্বাস্থ্যকর্মী সেজে বাসায় ডাকাতি করার নতুন কৌশল শুরু হয়েছে। একটি টিভি চ্যানেল এর খবরে দেখলাম এমনই একটি ঘটনার চিত্র।
গভীর রাতে ডাক্তারদের সাদা পোশাক পড়া কয়েকজন লোক একটি বাড়িতে এসে দারোয়ানকে ডেকে তুলে বলে, এই বাড়িতে করোনা রোগী আছে। দরজা খোলো। আমরা রোগীকে নিয়ে যাবো। সাদা পোষাকধারীদের কথা শুনে দারোয়ানের সন্দেহ হয়। কারণ বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে তারই তো আগে জানা কথা। গেট খুলতে সে অপারগতা জানায়। সাহস করে বলে, আপনারা দিনে আসেন। রাতে গেট খোলা যাবে না। সাদা পোশাকধারীরা দারোয়ানকে শাসিয়ে চলে যাবার সময় বলে যায়, সকালে আসবো। তখন তোমার খবর করে ছাড়বো। পরেরদিন আর কেউ আসেনি। কাজেই সহজে বোঝা যাচ্ছে, ওই লোকগুলো ডাকাতি করার জন্য এসেছিলো। এই ঘটনা থেকে আমাদের উচিত শিক্ষা নেয়া। অপরিচিত কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে দিবেন না।
যারা বিকাশে টাকা লেনদেন করেন তারা একটু সাবধান থাকবেন। এ ক্ষেত্রে বিকাশ এর নিয়ম ফলো করুন। আমার ব্যাক্তিগত একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। ১৭ এপ্রিল এর ঘটনা। হঠাৎ শুনি আমার ওয়াইফ মোবাইল ফোন এ কারো সাথে তর্ক করছে। ঘটনা কি জানার চেষ্টা করলাম। ঘটনা হলো বিকাশ এর পরিচয় দিয়ে কেউ একজন তার কাছে পিন নম্বর চাচ্ছে। এখনই পিন নম্বর না দিলে সমস্যা হবে বলে জোর তাগাদা দিচ্ছে। আমি ফোন ধরে হ্যালো বলতেই সে লাইন কেটে দেয়। কিন্তু ততক্ষনে ওয়াইফ এর বিকাশ নম্বর ব্লক হয়ে গেছে।
বন্ধুরা এরকম নানান প্রতারণা শুরু হয়েছে ,কাজেই সাবধান থাকুন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘরে থাকুন। সবার জন্য রইলো শুভ কামনা। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।