জ্বালানি তেল খালাসের পাইপ লাইন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ছয় মাস হল প্রকল্প শেষ হয়েছে। তবুও এ পাইপলাইন বাণিজ্যিক ব্যবহারে কোন কাজে আসতে পারেনি। তবে ঠিকাদার নিয়োগের কাজ চলছে। তার জন্য উন্মুক্ত দরপত্র তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। সব মিলে হয়তো আরো ছয় মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদরা সন্তুষ্ট নন। কেননা এখানে ৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
এত টাকা বিনিময় করার পরেও যদি সুফল পাওয়া না যায় তাহলে তা দুঃখজনক। সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে যেন দ্রুত জ্বালানি তেল খালাস করা যায় সেজন্য প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালে তৎকালীন সরকার প্রকল্প গ্রহণ করে।
চীন এখানে সব ধরনের কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি ঋণ সহায়তা দেয়। প্রকল্পের জন্য শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল 5 হাজার কোটি টাকা। তবে তা বাড়তে বাড়তে সাত হাজার কোটি টাকায় গিয়ে থামে। অবশ্য গত মার্চ মাসে পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানি তেল খালাস করে দেখা হয়েছিল। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত তেল আনা হয়। সে সময় পরীক্ষাটি সফল হলেও এখনো অনেক কাজ বাকি।
বিপিসি চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, ‘প্রকল্প গ্রহণের সময় এই ত্রুটিটা ছিল। আমি বলব যে, এটা যদি আমরা এক সাথে ইনট্রিগেটেড করতে পারতাম তাহলে আর সমস্যাটা হতো না। এটা বিশেষ আইনে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছিল। যেহেতু বিশেষ আইন এখন নাই, আমাদের এটা থেকে সুইচ করতে গিয়ে পিপিআরে, একটু আমাদের সময় লাগছে। এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৬ মাস–১ বছর আসলে লেগে যায়।’
বিপিসিকে গভীর সমুদ্র থেকে ছোট জাহাজে প্রতি টন তেল খালাসে ভাড়া গুণতে হচ্ছে ৬ মার্কিন ডলার পর্যন্ত। এদিকে, সমুদ্রতলের পাইপলাইন ব্যবহার করা না গেলেও শুরু হয়েছে, চীনা ঋণের কিস্তি পরিশোধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেল খালাসে বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ যত দ্রুত সম্ভব কাজে লাগানো উচিত।
সিপিডি গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আমার মনে হয় উপদেষ্টা যদি টেন্ডার প্রসেসের টাইমগুলো নির্দিষ্ট করে সেট করে দেন এবং সে অনুযায়ী কর্মকর্তাদের যদি প্রস্তুত হতে বলেন, তাহলে প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রিতা কমে আসবে। কেননা অনেকগুলো দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এর আর্থিক দায় যেমন বাড়ছে, আবার ভোক্তার ওপরেও এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।