Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বাংলাদেশে বিপুল মার্কিন বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
অর্থনীতি-ব্যবসা স্লাইডার

বাংলাদেশে বিপুল মার্কিন বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কSeptember 23, 20225 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল এবং ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ তাদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রদানের প্রস্তাব দিতে পেরে সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, ‘আমি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ওষুধ, ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ, জাহাজ নির্মাণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’

নিউ ইয়র্কে তাঁর অবস্থানস্থলের হোটেলে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত উচ্চ-স্তরের পলিসি গোলটেবিলে ভাষণদান কালে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদেশী বিনিয়োগ সুরক্ষা, কর অবকাশ, রয়্যালটির রেমিটেন্স, অনিয়ন্ত্রিত প্রস্থান নীতি এবং পুরোপুরি প্রস্থানের সময় লভ্যাংশ ও মূলধন নিয়ে যাওয়ার সুবিধা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ১শ’টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ (এসইজেড) এবং বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ৬ লাখেরও বেশি ফ্রি-ল্যান্সিং আইটি পেশাদার রয়েছে, ফলে, বাংলাদেশ আইটি বিনিয়োগের জন্য সঠিক গন্তব্য।

তিনি বলেন, ‘তাছাড়া, প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানবসম্পদ বাংলাদেশে একটি অতিরিক্ত সুবিধা। এমনকি যদি প্রয়োজন হয়, আমরা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের’ প্রস্তাব করতে পরলে খুশী হব।’

তিনি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক সংযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী এবং বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হওয়ার অভূতপূর্ব সম্ভাবনা প্রদান করেছে।

‘ভারত, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ ৪ বিলিয়ন মানুষের সম্মিলিত বাজারের মাঝখানে রয়েছে,’ তিনি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের সমাবেশে বলেন।

প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন হচ্ছে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে, বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে, ৪র্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী এবং বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনকারী হয়েছে।

‘বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে তার প্রতিবেশী দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতি চালিয়ে যাবে। আমরা ক্রমাগত আমাদের ভৌত, আইনি এবং আর্থিক অবকাঠামো উন্নত করছি এবং দেশে যোগাযোগ উন্নত করছি,’ তিনি বলেন।

তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপ্তি অভ্যন্তরীণ এবং আঞ্চলিক সংযোগ উভয়ই উন্নত করেছে, যেখানে ঢাকা মেট্রো-রেল প্রকল্পটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা দ্রুত অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা যোগ করবে।

বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি মর্যাদা থেকে স্নাতক হতে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এবং রপ্তানি বাস্কেট বাড়ানোর জন্য তাদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন।

‘আমি নিশ্চিত যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চ্যালেঞ্জিং প্রচেষ্টায় আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে,’ তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে। আইএলও রোডম্যাপ উদ্যোগ মোকাবেলা করার জন্য কর্মের একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা এবং সময়রেখা প্রদান করে এবং শ্রম খাতে প্রতিকারের পরামর্শ দেয়।

তাঁর সরকার এই সেক্টরে ক্রমাগত উন্নতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে পর্যাপ্তভাবে নিযুক্ত রয়েছে। মার্কিন সরকার শ্রম ইস্যুতে ৩+৫+১ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে প্রতিনিধিত্ব করছে, তিনি বলেন।

তদুপরি, তিনি বলেন যে ২য় উচ্চ স্তরের অর্থনৈতিক পরামর্শের ফলোআপ সিদ্ধান্ত হিসাবে একটি ‘সরকার থেকে সরকা’’ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন এই দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

প্রধানমন্ত্রী ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিটি সাফল্য কামনা করেন এবং আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেন যে এটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, বলেন, ‘আসুন আমরা আবারও একটি টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্বের জন্য আমাদের হাত মেলাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদার এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সামরিক-সামরিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসহ বিস্তৃত বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এর ব্যাপক সম্পৃক্ততা রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের প্রসারের মাধ্যমে পারস্পরিক সমৃদ্ধিতে দুদেশের অভিন্ন লক্ষ্যগুলো প্রতিধ্বনিত হয়েছে, তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০২১-২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ১০ দশমিক ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ছিল প্রায় ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ একটি শোষণমুক্ত সমাজ এবং পূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে, তিনি আরও বলেন, ‘আমার সরকার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা এবং আইসিটি ক্ষেত্রে একটি অনুকরণীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী সরকারের ধারাবাহিকতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ এবং নারীর ক্ষমতায়নকে সাফল্যের চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরিত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ হাতে নিয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে সবুজ সমৃৃদ্ধির জন্য একটি কৌশলগত রোডম্যাপ।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বকে একটি স্থিতিস্থাপক বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়েছে।

একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও, সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রাথমিক এবং কার্যকর পদক্ষেপের কারণে মহামারী চলাকালীন মৃত্যুর হার খুবই কম ছিল।

তিনি আনন্দের সঙ্গে জানান যে, বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রার জনসংখ্যার ১০২% (১২১ মিলিয়ন) কমপক্ষে দ’ুটি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়েছে। এইভাবে, আমাদের অর্থনীতি মহামারী মোকাবেলায় দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে, তিনি বলেন।

কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি কোভিড-১৯ টিকা অনুদান প্রদান করায় তিনি মার্কিন সরকারের আন্তরিক প্রশংসা করেন।-বাসস

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অর্থনীতি-ব্যবসা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ বিপুল মার্কিন স্লাইডার
Related Posts
Bank

কর্মসংস্থান ব্যাংকে ঋণ পেতে যেসব যোগ্যতা থাকতে হবে, জেনে নিন

December 23, 2025
Rijve

তারেক রহমানের সংবর্ধনায় ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হবে : রিজভী

December 23, 2025
BNP

স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়লে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি

December 23, 2025
Latest News
Bank

কর্মসংস্থান ব্যাংকে ঋণ পেতে যেসব যোগ্যতা থাকতে হবে, জেনে নিন

Rijve

তারেক রহমানের সংবর্ধনায় ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হবে : রিজভী

BNP

স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়লে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি

জাইমা রহমান

দেশের জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে চাই : জাইমা রহমান

রুমিন ফারহানার

‘কপাল পুড়ল’ রুমিন ফারহানার, জুনায়েদকে সমর্থন বিএনপির

সংসদ নির্বাচন : প্রবাসী নিবন্ধন ছাড়ালো ৫ লাখ ৯৪ হাজার

তলব

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

সংঘর্ষ

ছাত্রদল-এনসিপির সংঘর্ষে আহত ১০

প্রতিবাদ সমাবেশ

প্যারিসে হাদি হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে সমাবেশ

অভিযোগ গঠন

হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.