লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য সব মানুষকেই বাথরুমে যেতে হয়। বাথরুমে কেউ কেউ প্রয়োজন অনুযায়ী সময় নেন। কিন্তু কেউ কেউ আবার বেশি সময় নিয়ে থাকেন। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বাথরুমে বিবাহিত পুরুষরা নাকি বেশি সময় নিয়ে থাকেন। হাস্যকর হলেও এর পেছনেও যুক্তি রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, বিবাহিত নারীরাই তাদের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, বাথরুমে স্বামীর দীর্ঘ সময় নেয়ার ব্যাপারে। এ ব্যাপারে অনেক বিবাহিত পুরুষ অবশ্য কথা বলেছেন। যেখানে তাদের সময় নেয়ার কারণ রয়েছে। এবার তাহলে বাথরুমে বিবাহিত পুরুষদের সময় বেশি নেয়ার কারণ জেনে নেয়া যাক।
স্ত্রীকে ঘরের কাজে সহযোগিতা না করা : অনেক পুরুষই জানিয়েছেন, স্ত্রীকে ঘরের কাজে সাহায্য করা কিংবা সেসব এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বাথরুমে গিয়ে থাকেন তারা। একই সঙ্গে প্রয়োজনের থেকে বেশি সময় নেন। জরিপে অংশ নেয়া এক বিবাহিত পুরুষ জানিয়েছেন, তিনি থালা-বাসন ধোয়া বা ধুলাবালি একদমই পছন্দ করেন না। কিন্তু তার স্ত্রী এ দুটি কাজই করতে দেন তাকে। কখনো কখনো কাজ দুটি এড়ানোর জন্য বাথরুমে সময় পার করেন তিনি।
ঘুমানোর জন্য : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুরুষ জানিয়েছেন, তিনি ঘুমানোর জন্য বাথরুমে বেশি সময় ব্যয় করেন। বলেন, আমাদের সন্তান হওয়ার পর থেকে ঘুম বঞ্চিত ছিলাম আমি। আমার স্ত্রী অফিসে যাওয়ার সময় বাড়িতে কাজ করতে হয় আমার। কিন্তু যেদিন আমার স্ত্রী বাড়িতে থাকেন, সেদিন বাথরুমে সময় কাটাতে পছন্দ করি। কারণ ওই সময় বাথরুমে ঘুমাতে পারি আমি।
কান্না করার জন্য : অবিশ্বাস্য হলেও এমনই হয়ে থাকে কারও কারও ক্ষেত্রে। পুরুষরা নাকি কান্না করার জন্যও বাথরুমে গিয়ে থাকেন। পুরুষদের কান্নার জন্য বাথরুমই নাকি বেশি নিরাপদ স্থান। কারণ, পুরুষরা যেহেতু অন্যের সামনে কান্না করতে পারেন না, এমনকি নিজের স্ত্রীর সামনেও; এ কারণেই মন খারাপ হলে বাথরুমে গিয়ে কান্না করেন অনেক পুরুষ।
স্ট্রেস কাটাতে : ২০১৮ সালে একটি গবেষণা চালায় বাথরুম কোম্পানি পেবল গ্রে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা বলছে, যুক্তরাজ্যের এক তৃতীয়াংশ পুরুষ বছরে সাত ঘণ্টারও বেশি সময় কাটিয়ে থাকেন বাথরুমে। যা শুধুই ‘অবকাশ উপভোগ’ ও ‘স্ট্রেস এড়ানোর জন্য’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানো : গবেষণায় দেখা গেছে ৮৪ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, বাথরুমে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা পুরুষদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ ভিডিও দেখেন এবং ৬২ শতাংশ মানুষ সংবাদ পড়েন। ৪৯ শতাংশ মানুষ ই-মেইল পড়েন ও ২৪ শতাংশ মানুষ টিভি সিরিজের পর্ব দেখেন। আবার ১৪ শতাংশ জানিয়েছেন তারা বই পড়েন বা ফোনে কথা বলে থাকেন (৮ শতাংশ)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।