আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমা শক্তিগুলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজি করিয়ে কিছুটা পিছু হটাতে পারে। মানুষ হতাহতের শঙ্কা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক তৎপরতা দিয়ে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টাই বেশি কার্যকর হতে পারে, যা তাকে সবচেয়ে খারাপ কিছু থেকে ফিরিয়ে নিতে পারে।
পশ্চিমারা যুদ্ধে জড়ালে একটি দীর্ঘমেয়াদী উচ্চমূল্যের যুদ্ধের ঝুঁকিকে তিনি কিছুটা হলেও সমীহ করতে পারেন।
তবে তাকে বিশ্বাস করতে হবে এসবের মূল্য তার অভ্যন্তরীণ সমর্থনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, যা তার নেতৃত্বকে হুমকিতে ফেলবে।
এছাড়া পশ্চিমারা হয়তো পুতিনকে একটি কূটনৈতিক জয়ের সুযোগ দিতে পারেন, যা তাকে এমনভাবে চিত্রিত করবে যে তিনি ন্যাটোর সামরিক উস্কানিতে উৎসাহিত না হয়ে বরং শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন।
পুতিন দাবি করতে পারেন যে তিনি শেষ পর্যন্ত পশ্চিমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং তার ‘যৌক্তিক নিরাপত্তা উদ্বেগ’ বিষয়টি পশ্চিমা নেতারা গ্রহণ করেছেন।
রাশিয়া বিশ্বকে এটিও মনে করিয়ে দিতে পারে যে তারা একটি বৃহৎ শক্তি এবং বেলারুসে তাদের অবস্থান আরও শক্ত হবে।
কিন্তু এসব বিশ্লেষণের সমস্যা হল পুতিনের অ্যাকশন পশ্চিমাদের ঐক্যবদ্ধ করছে, ন্যাটোকে ক্রমশ রাশিয়া সীমান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশকে ন্যাটোতে যোগ দিতে উৎসাহিত করছে।
সমস্যা হল- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যদি ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণ আর ন্যঅটোকে হেয় করতে চান, তাহলে তার পিছিয়ে আসার কারণ খুব একটা থাকবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।