Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ত্রাণ সংকটে লাখ লাখ পানিবন্দী মানুষ
জাতীয় বিভাগীয় সংবাদ স্লাইডার

বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ত্রাণ সংকটে লাখ লাখ পানিবন্দী মানুষ

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJuly 14, 20198 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক: টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ত্রাণ সংকটের কারণে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করছেন এসব জেলার বন্যাকবলিত মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। খবর ইউএনবি’র।

স্কুল-কলেজে পানি প্রবেশ করায় বন্ধ রয়েছে পাঠদান কার্যক্রম। রাস্তায় পানি ওঠায় অনেক জেলা শহরের সাথে উপজেলাগুলোর যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে। প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।

বিভিন্ন জেলা থেকে ইউএনবির প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমোর, ব্রক্ষপুত্রসহ ১৬ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়ছে চর-দ্বীপচরসহ নদ-নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা।

পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪শ গ্রামের প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ। ঘর-বাড়ি ছেড়ে বন্যা দুর্গতরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গবাদি প্রাণি নিয়ে পাকা সড়ক এবং উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে নলকুপ তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বসত ঘর ও রান্না ঘরে পানি প্রবেশ করায় রান্নার কাজ বন্ধ রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে কাঁচা পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

বন্যার পাশাপাশি নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে ৭২৫টি পরিবার। এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কাঁচা-পাকা রাস্তা, ব্রিজ ও কালভাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্তিতি মোকাবিলায় সকল বিভাগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে ছুটি। খোলা হয়েছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম।

সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার, তিন্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার ও দুধকুমোর নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে মোট ৪১ হাজার মানুষের বসবাস। এরমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ৫ হাজার পানিবন্দী পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা পেলে বন্যা কবলিতদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

বন্যার্তদের মাঝে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতা শুরু না হলেও জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। তালিকার কাজ শেষ হলে এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমোরসহ প্রতিটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদীর পানির তোড়ে ধসে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

গাইবান্ধায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণে রবিবার দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি তোড়ে বাগুড়িয়া নামক স্থানে বাঁধের ১শ ফিট অংশ ধসে গেছে। ফলে এলাকার প্রায় সাত শতাধিক বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।

বুক পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলাদি। লোকজন কোনোমতে তাদের গবাদী পশু ও কাঁথা বালিশ নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয়ের জন্য মালামাল স্থুপ করে রেখেছেন। কোথায় যাবেন তার কোনো ঠিকানা নেই। এই হতাশায় এলাকার লোকজন ডুবে ডুবে তাদের ডুবন্তু ঘর থেকে যতোটুকু পারেন মালামাল সরিয়ে নিয়ে আসছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুয়ায়ী, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ৭৮ এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ নদীতীরবর্তী অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আরও নতুন নতুন এলাকা ডুবে যাচ্ছে।

গাইবান্ধার বন্যা দুর্গত এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় কিছু ত্রাণ সহযোগিতা দিয়েছেন, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অপরদিকে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ তিন শতাধিক মানুষকে ত্রাণ সহয়তা দিয়েছেন।

যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জে নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত

পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জে নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সেইসাথে টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে ৪৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। তবে রাতের মধ্যেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও হেডকোয়ার্টার রনজিৎ কুমার সরকার জানান, উজানের ঢলে ও টানা বর্ষণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের চৌহালী, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, কাজিপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে তিল, কাউন, পাটসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। এসব এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে।

চলনবিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশংকা করা হচ্ছে।

বগুড়ায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে

বগুড়ায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের পূর্ব পাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোনাতলা ও সারিয়াকান্দির নিম্নাঞ্চলের ৮০টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলা পয়েন্টে যমুনার পানি ১৫ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রবিবার সকাল ৯টায় বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে  যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলা প্রশাসকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার ত্রাণ কর্মকর্তা আজাহার আলী মণ্ডল জানান, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিপরীতে পূর্বদিকে জেলার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলায় বন্যার পানিতে ৫৬৮ হেক্টর কৃষি জমি ও দুই উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৬০টি পরিবারের ৫৭ হাজার ২৮০ মানুষ। সোনাতলা ও সারিয়াকন্দি উপজেলার ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জে খোয়াই ও কুশিয়ারা নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে

হবিগঞ্জে খোয়াই নদী এবং কুশিয়ারা নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। রবিবার বিকাল ৪টায় খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে নদী তীরবর্তী সাধারণ মানুষের মনে। খোয়াই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় শহররক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম জানান, ভারতের অভ্যন্তরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং টানা বর্ষণের ফলে খোয়াই ও কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় কুশিয়ারা নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাওয়াও ঝুঁকি বাড়ায়। এটিও আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খোয়াই নদীর পানিও প্রতিনিয়তই বাড়ছে। নদীগুলোর বাঁধ তেমন একটা ঝুঁকিতে না থাকলেও বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করতে পারে।

তিনি আরও জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়লে বিবিয়ানা পাওয়ার প্ল্যান্ট আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। খোয়াই নদীর পানি প্রতি ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার হারে বাড়ছে। অপরদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে জেলার রত্না, সুটকি, করাঙ্গী, সুতাং, সোনাই নদীতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

তিস্তা-ধরলার পানি বিপদসীমার ওপরে, লালমনিরহাটে ত্রাণ সংকটে অনাহারে-অর্ধাহারে পানিবন্দীরা

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। রবিবার তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে কমে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানিবন্দী মানুষগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে ত্রাণ সংকট। অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছে পানিবন্দী জেলার অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে,  বানভাসি মানুষের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র দেড়’শ টন চাল। যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য।

গত ছয় দিন ধরে পানিবন্দী থাকা পরিবারগুলোর মাঝে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে নানা পানিবাহিত রোগ।

জেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, ভয়াবহ বন্যার কারণে জেলার ৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

মনু নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে

অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে জেলার মনু, কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েই চলছে এ তিন নদীর পানি।

দুপুরে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মনু নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এরই মধ্যে ধলাইয়ের একটি ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে কমলগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এখন অবধি পানি বাড়ছেই।

পঞ্চগড় জেলার পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

অবিরামবর্ষণ ও উজানের পানিতে পঞ্চগড় শহরসহ পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শহরের করতোয়া, মহানন্দা, ডাহুক, ভেরসাসহ জেলার সবকটি নদীর পানি বেড়েছে। আকস্মিকভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখেই বিভিন্ন স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। অবিরাম বর্ষণে ভাসমান, দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা জানান, ঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২ হাজার মানুষকে শুকনো খাবার এবং ৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও টাকা চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে।

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১২টি স্থানে ভাঙনে ২৬ গ্রাম প্লাবিত, ১০টি বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী হয়ে পরশুরাম-ফুলগাজী উপজেলার ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার কমপক্ষে ১২টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এর ফলে একে একে ভেসে যায় দুই উপজেলার ২৬টি গ্রামে।

পানিবন্দী থাকার চার দিন পর রবিবার এসব এলাকার পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত বসত বাড়ির ও রাস্তাঘাটের পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সাথে সাথে দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ক্ষত চিহ্ন। আর এখনও নদীর ভাটি অঞ্চলে তলিয়ে আছে মাঠের আমন বীজতলা।

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টি ও ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের  সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, নদ-নদীতে পানি বাড়ার পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে।

সুরমার পানি কমলেও প্লাবিত এলাকাগুলো এখনো পানিতে নিমজ্জিত আছে। ফলে এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছে জেলার পাঁচ উপজেলার দুই লক্ষাধিক লোক।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার জানিয়েছেন, সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা নাজুক। বিভাগের প্রতিটি নদীর পানি বাড়ছে। তবে রবিবার সিলেটের নদ-নদীতে পানির পরিমাণ তেমন বৃদ্ধি পায়নি।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অবস্থা কার্যক্রম ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংকট সরকার
Related Posts
তারেক রহমান

সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক: তারেক রহমান

November 21, 2025
বিদ্যুৎ থাকবে না

যেসব এলাকায় ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ

November 21, 2025
নতুন বই

মানসম্মত নতুন বই নির্ধারিত সময়েই শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছাবে: এনসিটিবি

November 21, 2025
Latest News
তারেক রহমান

সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক: তারেক রহমান

বিদ্যুৎ থাকবে না

যেসব এলাকায় ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ

নতুন বই

মানসম্মত নতুন বই নির্ধারিত সময়েই শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছাবে: এনসিটিবি

অবরুদ্ধ ৬ পুলিশ সদস্য

নাচোলে অভিযানে গিয়ে জনতার হাতে অবরুদ্ধ ৬ পুলিশ সদস্য

মুফতি ফয়জুল করিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল জনকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ: মুফতি ফয়জুল করিম

ফের সহিংসতা

নেপালে ফের সহিংসতা, জেন জি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ওলি সমর্থকদের সংঘর্ষ

বেগম খালেদা জিয়া

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বেগম খালেদা জিয়া

১৭৪ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ অভিযানে ১৭৪ বাংলাদেশি আটক

বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড

ব্রাজিলের বেলেমে কপ-৩০ ভেন্যুতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সশস্ত্র বাহিনী দিবস

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.