আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার টরন্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেড় কোটি ডলার মূল্যের কন্টেইনারভর্তি সোনা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে। চোর ধরতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গত ১৭ এপ্রিল চুরির ঘটনাটি ঘটলেও ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশের ধারণা, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের খনি থেকে তোলা সোনাভর্তি কন্টেইনারটি সন্ধ্যার সময় কার্গো বিমানে নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপর সেটি বিমানবন্দরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়। সেই স্থান থেকে কন্টেইনারভর্তি সোনা এবং মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে বলে এ ঘটনায় নিরাপত্তার গাফিলতিকে দায়ী করেছে কেউ কেউ।
কানাডার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ইতিহাসে এযাবৎকালে যতগুলো বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর মধ্যে এটি একটি। দেশটিতে বড় ধরনের চুরির ঘটনার অন্যতম হলো ২০১১ ও ২০১২ সালে কুইবেকে এক সংরক্ষণাগার থেকে প্রায় ১ কোটি ৮৭ লাখ ডলার দামের ‘গ্রেট কানাডিয়ান ম্যাপল সিরাপ’ চুরি।
অন্টারিও প্রদেশের পিল অঞ্চলের পুলিশ পরিদর্শক স্টিফেন দুইভেস্তেয়েন স্বর্ণ চুরির ঘটনাকে বিরল হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, সম্ভাব্য সব উপায়েই তদন্ত করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। সেখানে তিনি বলেন, প্রায় পাঁচ বর্গফুটের কনটেইনারটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। উড়োজাহাজে বহন করে নিয়ে আসা ওই কনটেইনারে অনেক স্বর্ণ ছিল। স্বর্ণ ছাড়াও কনটেইনারটিতে মূল্যবান অনেক সামগ্রীও রাখা ছিল।
স্টিফেন দুইভেস্তেয়েন আরো বলেন, ‘আমাদের বর্তমান লক্ষ্য হলো, এই চুরির একটা হদিস খুঁজে বের করা। আমরা এর সমাধান করতে চাই। আমি বর্তমানে এ ছাড়া আর বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। তবে বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য কোনো হুমকি নেই। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে আমরা মনে করছি না।’
সূত্র: সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।