আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিমানের একদম শেষে আসন পেয়েছিলেন দুই বন্ধু ভিকি এবং সান্দ্রা। ছাত্রাবস্থায় টাকা-পয়সার স্বচ্ছলতা খুব একটা থাকে না পড়ুয়াদের। তাই মানে না বুঝেই কেটে ফেলেছিলেন কম দামের ‘স্ট্যান্ডবাই’ গোত্রের দু’টি টিকিট। কিন্তু সেই ভিকির আসনের পাশে বসা অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিই আজ ৪০ বছর ধরে তাঁর জীবনসঙ্গী।
১৯৮২ সালের ঘটনা। সেই সময়ে ২২ বছর বয়সি ভিকি লন্ডনে একটি কাজে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সব চেয়ে কাছের বন্ধু সান্দ্রা। দু’জনে মিলে বড় দু’টি ব্যাগ নিয়ে ওহায়ো থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। দুই বন্ধুর কাছেই বিমানের টিকিট ছিল ‘স্ট্যান্ডবাই’ গোত্রের। লন্ডনের উদ্দেশে টিকিট কাটার সময়ে তাঁরা এই বিশেষ গোত্রটির সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ভিকি বলেন, “ওই নির্দিষ্ট গোত্রের টিকিটের দাম কম থাকায়, মানে না বুঝেই কেটে ফেলেছিলাম।”
একে একে বিমানে সব যাত্রী উঠে যাওয়ার পরও ভিকি এবং সান্দ্রার ডাক পড়ছে না দেখে তাঁরা একটু ভীত হয়ে পড়েন। কিছু ক্ষণ পর তাঁদের ডাক পড়লেও বিমানের মধ্যে প্রতিটি শ্রেণি পেরিয়ে যাওয়া দেখে তাঁরা আন্দাজ করতে পারেননি, আসলে তাঁদের বসার জায়গা দু’টি কোথায়। শেষ পর্যন্ত জায়গা পান সান্দ্রা। আরও বেশ কিছুটা পরে বিমানে একেবারে শেষ প্রান্তে ঠাঁই হয় ভিকির। বিমানসেবিকারা তাঁর ঢাউস ব্যাগটি ছুড়ে দেওয়ার সময়ে পাশে বসে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির গায়ে লেগে যায়। তৎক্ষণাৎ ঘাড় ঘুরিয়ে তিনি বলে ওঠেন, “উনি আমার বান্ধবী।” ব্যস!
কাঠঠোকরার বাসা বাড়ির ফাটলে, দিনের পর দিন কী সংগ্রহ করল? দেওয়াল ভাঙতেই অবাক মালিক
গ্রাহাম নামের ওই ব্যক্তিও ঘটনাচক্রে ওই ‘স্ট্যান্ডবাই’ টিকিট কেটেছিলেন। ১৯৮২ থেকে আজ পর্যন্ত ৪০টি বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে সুখী জীবনযাপন করছেন। বান্ধবীর পরিচয় দেওয়া ভিকিই যে গ্রাহামের জীবনসঙ্গী হয়ে উঠবেন, এ কথা কে জানত!
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।