জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম–ঢাকা রুটে বাস এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় বিমানের উপর অস্বাভাবিক চাপ পড়েছে। প্রতিটি ফ্লাইটই পূর্ণ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। আর এই সুযোগে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান ভাড়া এক লাফে দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দৈনিক অর্ধ কোটিরও বেশি টাকা এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি নিচ্ছে। আবার টাকা দিয়েও জুটছে না টিকেট।
শনিবারের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার সব এয়ারলাইন্সের সবগুলো ফ্লাইটেরই সকল টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। দ্বিগুণ কেন পাঁচগুণ দাম দিলেও কোনো টিকেট পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা। অবশ্য বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতে বাড়তি ফ্লাইট চালানোর ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও তারা জানান।
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে বাংলাদেশ বিমান ছাড়া ইউএস বাংলা, এয়ার এস্ট্রা এবং নভো এয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করে। এরমধ্যে ইউএস বাংলার ৬টি, বাংলাদেশ বিমানের ৫টি, এয়ার এস্ট্রার ৪টি এবং নভো এয়ার ২টি মিলে মোট ১৭টি ফ্লাইট আসা যাওয়া করে। এসব ফ্লাইটে গড়ে বারোশ’র মতো যাত্রী পরিবহন করা হয়। চট্টগ্রাম–ঢাকা রুটে বিমানভাড়া অপারেটরভেদে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু কুমিল্লা ও ফেনী স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হওয়ায় চট্টগ্রাম–ঢাকা মহাসড়কের লালপোলসহ সন্নিহিত অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে চট্টগ্রাম–ঢাকা রেললাইনেও বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বাস এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাপ বাড়ে বিমানবন্দরে। জরুরি কাজে যাদের ঢাকায় যেতে হচ্ছে তাদেরকে চড়া দামে টিকেট কিনতে হচ্ছে। এয়ারলাইন্সগুলো ইচ্ছেমাফিক ভাড়া আদায় করছে বলেও যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, সাড়ে ৫ হাজার টাকার ভাড়া গতকাল আদায় করা হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার টাকা। আজকের বিভিন্ন ফ্লাইটের টিকেটেরও একই দাম নেয়া হয়েছে। আবার টাকা দিয়েও টিকেট জুটছে না। আজকের সবগুলো টিকেটই বিক্রি হয়ে গেছে বলেও এয়ারলাইন্সগুলো থেকে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল ইউএস বাংলার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশি ভাড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মীর ইচ্ছায় হচ্ছে না। সিস্টেমেই বাড়তি ভাড়ার সিটগুলো রয়েছে। যেগুলো নির্ধারিত ভাড়া ছাড়া বিক্রি করার সুযোগ নেই। কম ভাড়ার সিটগুলো আগে ভাগে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
শেখ হাসিনার পতনের পর একজন হিন্দুও ভারতে প্রবেশ করেনি: আসামের মুখ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাস এবং ট্রেন বন্ধ থাকায় বিমানের উপর চাপ বেড়েছে। প্রচুর যাত্রী হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সিস্টেমে। ফলে টিকেট দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনের সিস্টেম থেকে যাত্রীরা টিকেট কেটে নিচ্ছেন। এতে আমাদের তো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোনো এয়ারলাইন্সেই একটি ফ্লাইটের সবগুলো সিটের ভাড়া একই হারে থাকে না। কম দামের টিকেটগুলো আগেই বিক্রি হয়ে যায়। এজন্য ফ্লাইটের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সিটের ভাড়া বেড়ে যায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সূত্র : দৈনিক আজাদী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।