জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন এবং ২১ স্কোয়াড্রন এর ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠান মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) যশোরে অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির পক্ষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ১১ স্কোয়াড্রন এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুচকাওয়াজ চত্বরে ভিডিও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হলে বিমান বাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মুঃ কামরুল ইসলাম তাঁকে স্বাগত জানান।
‘উদয়ের পথে নির্ভীক’ এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত ১১ স্কোয়াড্রন ভবিষ্যৎ বৈমানিক তৈরীর সুতিকাগার। ১৯৮২ সালে বিমান বাহিনীর বৈমানিকদের মৌলিক উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের নিমিত্তে ১১ স্কোয়াড্রনের উন্মেষ ঘটে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ক্যাডেটদের মৌলিক উড্ডয়ন প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হতো।
পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকায় ক্যাডেট প্রশিক্ষণ ইউনিটের আবির্ভাব ঘটে এবং ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে গণচীন হতে ক্রয়কৃত মৌলিক প্রশিক্ষণ বিমান পিটি-৬ সংযুক্ত হয়। সূচনালগ্ন থেকেই ১১ স্কোয়াড্রন অফিসার ক্যাডেটদের মৌলিক উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। এর পাশাপাশি অত্র স্কোয়াড্রন বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণার্থী বৈমানিকদের পিটি-৬ বিমানে মৌলিক উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর ২৫ জন বৈমানিক অত্র স্কোয়াড্রন হতে মৌলিক উড্ডয়ণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
এছাড়াও ১১ স্কোয়াড্রন এ পর্যন্ত বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর ৩৪ জন অফিসার ক্যাডেটকে সাফল্যের সাথে মৌলিক উড্ডয়ণ প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। ভবিষ্যতেও ১১ স্কোয়াড্রন তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দেশপ্রেম এবং কর্তব্যপরায়ণতা অক্ষুন্ন রেখে দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত থাকতে বদ্ধপরিকর। ২১ স্কোয়াড্রন ১৯৮৭ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একমাত্র নিবেদিত এ্যাটাক স্কোয়াড্রন হিসেবে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।