জুমবাংলা ডেস্ক: গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাড়িতে ঢুকে এক কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীর নাম রাবেয়া আক্তার (২১)।
ওই সময় আহত হয়েছেন নিহতের মা ও ছোট বোন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আজ মঙ্গলবার ঘটনাটি জানাজানি হয়।
নিহত রাবেয়া আক্তার ওই এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে। আর অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সাইদুল ইসলাম ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মহেশতারা গ্রামের বাসিন্দা।
গাজীপুর সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, আবদুর রউফ তার ছোট দুই মেয়ে খাদিজা ও জান্নাতের কোরআন শিক্ষার জন্য অভিযুক্ত সাইদুল ইসলামকে গৃহশিক্ষক হিসেবে রাখেন। কোরআন পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়ার সুবাদে বড় মেয়ে রাবেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সাইদুল। পারিবারিকভাবে প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে পড়ানোর জন্য নিষেধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইদুল বিয়ের জন্য চাপ দেয় এবং বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত শুরু করে।
রাবেয়া লেখাপড়ার পাশাপাশি সম্প্রতি তেলিপাড়া এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি নেন। তার কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথেও উত্ত্যক্ত করতে থাকে সাইদুল। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানান। তারা সাইদুলকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন সাইদুল। পরে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান গেট খোলা দেখতে পেয়ে ঘরে ঢুকে ছুরি দিয়ে রাবেয়ার মাথায়, গলায়, পায়ে ও হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন সাইদুল।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাবেয়ার চিৎকারে মা ও ছোট বোন দৌড়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাবেয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে সাইদুল পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।