আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিলকিস বানু গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন অভিযুক্তকে ১৫ আগস্ট মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। খোদ বিলকিস বলেছিলেন, দু’দশক আগের আতঙ্ক ফের ফিরে এসেছে তার জীবনে। ভয়হীন বেঁচে থাকার অধিকারটুকু ফিরে পেতে চেয়েছেন বানু। গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামালা হয়েছিল দিন কয়েক আগেই।
২৩ আগস্ট বিলকিস মামলায় গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার বিলকিস মামলায় গুজরাট সরকারকে নোটিশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেয়া হয়েছে, তার জবাব দিতে হবে গুজরাট সরকারকে।
দু’সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি। তার আগে জবাব দিতে হবে গুজরাট সরকারকে। ২০০২ সালে বানোর সাথে ঘটে ভয়াবহ ঘটনা। ২১ বছরের বানুকে গণধর্ষণ করা হয়, বানু তখন ৫ মাসের গর্ভবতী। এক সন্তানের জননী। সেই সন্তানকে তার সামনেই মেরে ফেলা হয়। খুন করা হয়ে তার পরিবারের লোকেদেরও। ২০০৮ সালে অভিযুক্ত ১১ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।
সূত্র : আজকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।