জুমবাংলা ডেস্ক : বিপুল পরিমাণ কাটা টাকা পোড়ানোর কোনো ব্যবস্থা নেই বলেই তা বিলের পানিতে ফেলা হয়েছে। এছাড়া বড় টাকার নোট পোড়ালে প্রচুর ধোঁয়া হয় বলে স্থানীয় লোকজন পরিবেশে দূষণ নিয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন। আর এ নিয়ে পরিবেশ অধিদফতরের আপত্তি থাকায় তা না পুড়িয়ে বিলের পানিতে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বগুড়া পৌরসভা ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার(২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে এসব কাটা টাকা কোনো ঘুষ, দুর্নীতি বা জুয়ার অবৈধ টাকা নয়। এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়ার নষ্ট টাকা বলে এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখা। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশেই এসব টাকা নষ্ট করা হয়েছে।
যেভাবে খবর পাওয়া গেল: স্থানীয় আজাহার জানান, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ৩টি ট্রাক এসে এই অকেজো টাকার বস্তা পানিতে ফেলে দেয়। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন বিলের ধারে টাকার টুকরো গুলো দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৪/৫ বস্তা টাকার টুকরো নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে আসে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ঘটনাস্থলে যায়। মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন তৈরী হয়। শাজাহানপুর থানা পুলিশ সহ পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন টাকার উৎস জানতে। দীর্ঘ সময় পর পুলিশ নিশ্চিত করেন এ টাকার টুকরোগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়ার নষ্ট টাকা।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, উদ্ধার হওয়া এই টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নষ্ট টাকা। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক নষ্ট টাকাগুলো ধ্বংস করতে বগুড়া পৌরসভাকে দিয়েছিল। বগুড়া পৌরসভা এই টাকাগুলো শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জালশুকা খাড়ুয়া গ্রামের চান্দাই মোড়ে বিলে ফেলে দেয়।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান বলেন, ব্যবহার অনুপযোগী টুকরো টুকরো করা টাকার বস্তাগুলো দিয়েছিল ডাম্পিং করতে। এ বিপুল পরিমাণ টাকা পুড়িয়ে ফেলার কোনো ব্যবস্থা পৌরসভার নেই, তাই বস্তাগুলো খাড়ুয়ার বিলে ফেলে দেওয়া হয়। ব্যবহার অনুপযোগী টাকা ফেলে দিলে এভাবে গুজব ছড়াবে তা আমার ধারণা ছিল না। আর পৌরসভার যেসব শ্রমিক এ কাজ করে তাদেরও জানা ছিল না।
বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক জগন্নাথ চন্দ্র ঘোষ জানান, বস্তা বস্তা টুকরো টাকাগুলো দেখেছেন তা নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। এই টাকাগুলো শত শত টুকরো করা আর টাকা ধ্বংস করার সনাতন পদ্ধতি হলো পুড়িয়ে ফেলা। কিন্তু বড় বড় টাকা পোড়ালে প্রচুর ধোঁয়া হয়। আশেপাশে বাড়ির লোকজন পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন। পরিবেশ অধিদফতরের আপত্তি রয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পরামর্শে বগুড়া পৌরসভার সঙ্গে কথা বললে তারা রাজি হয়। রোববার তাদের কাছে ২৪০ বস্তা নষ্ট টাকা তারা নিয়ে গিয়ে ওই বিলে ফেলে দেয়।
শাজাহানপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তার নষ্ট টাকার নমুনা সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে জিডি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।