জুমবাংলা ডেস্ক: বিলের জোয়ারের পানিতে গোসল করতে নেমেছিল ১০ তরুণ। তাদের মধ্য থেকে স্রোতের পানিতে তলিয়ে যায় তিনজন। প্রায় ৫ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর বিকেল ৫টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। শুরু হয় এলাকায় শোকের মাতম। রবিবার গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী বাইমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।
নিহতরা হলো, কোনাবাড়ি পূর্বপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে স্বাধীন (১৭), তার ভাগিনা একই এলাকার কামরুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (১৮) এবং ভাতিজা একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে রবিন (১৮) ওরফে রনি। মা-বাবার একমাত্র ছেলে স্বাধীন এ বছর কোনাবাড়ির মর্নিং সান স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় ছিল। এক ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিল সে। আর রনি কোনাবাড়ি জেনুইন রেসিডেনশিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে-ও ছিল মা-বাবার একমাত্র ছেলে। সাব্বির লেখাপড়া না করলেও সমবয়সী হিসেবে একসঙ্গে চলত।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন খোকন জানান, বাইমাইল এলাকার মেঘের ছায়া পিকনিট স্পটের পূর্ব পাশের বিলে দুপুরে ১০ বন্ধু মিলে গোসল করতে নামে। তাদের মধ্যে তিনজন স্রোতের তোড়ে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বিকেল ৪টার দিকে একজনের এবং বিকেল পৌনে ৫টার দিকে অপর দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, যে স্থানে তিন তরুণ ডুবে যায় ওই স্থান থেকে ৫০-৬০ ফুট গর্ত করে মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বর্ষায় জোয়ারের পানি তুরাগ নদী ও বিলের পানি একাকার হয়ে গেছে। ওই পানিতে স্রোত ছিল। স্রোতের টানে গভীর গর্তে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।