Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯তম প্রয়াণ দিবস আগামীকাল
    আন্তর্জাতিক জাতীয় শিল্প ও সাহিত্য

    বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯তম প্রয়াণ দিবস আগামীকাল

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কAugust 5, 20205 Mins Read
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক: আগামীকাল ২২শে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯তম প্রয়াণ দিবস। মহাকালের চেনাপথ ধরে প্রতিবছর বাইশে শ্রাবণ আসে। এই বাইশে শ্রাবণ বিশ্বব্যাপী রবী ভক্তদের কাছে একটি শূন্য দিন। কারণ এদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর দিন।

    রবীন্দ্র কাব্য সাহিত্যের বিশাল একটি অংশে যে পরমার্থের সন্ধান করেছিলেন সেই পরমার্থের সাথে তিনি লীন হয়েছিলেন এদিন। রবীন্দ্র কাব্যে মৃত্যু এসেছে বিভিন্নভাবে। জীবদ্দশায় মৃত্যুকে তিনি জয় করেছেন বারবার। কাব্য কবিতায় মৃত্যু বন্ধনা করেছেন তিনি এভাবে- ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। মেঘবরণ তুঝ, মেঘ জটাজুট! রক্তকমলকর, রক্ত-অধরপুট, তাপ বিমোচন করুণ কোর তব মৃত্যু-অমৃত করে দান।’

    জীবনের শেষ নববর্ষের সময় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর সাধের শান্তিনিকেতনে। সেদিন তাঁর কলমে রচিত হয়েছিল ‘সভ্যতার সংকট’ নামের অমূল্য লেখাটি। তারও ক’দিন পর ১৯৪১ সালেরই ১৩ মে লিখে রাখলেন, রোগশয্যায় শুয়েই ‘আমারই জন্মদিন মাঝে আমি হারা’।

    শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের শেষ দিনগুলোতে কখনও তিনি শয্যাশায়ী, কখনও মন্দের ভাল। শেষের দিকে ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই, শান্তি নিকেতনের আশ্রম বালক-বালিকাদের ভোরের সঙ্গীত অর্ঘ তিনি গ্রহণ করেন তাঁর উদয়ন গৃহের পূর্বের জানলার কাছে বসে। উদয়নের প্রবেশদ্বার থেকে ছেলেমেয়েরা গেয়ে উঠেন কবিরই লেখা ‘এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার, আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হল আজ’।

    রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় ‘রবীন্দ্র জীবন কথা‘য় কবির মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন। তিনি লিখেন ‘ শান্তি নিকেতনে কবি এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেহ আর চলছিলনা। চিকিৎসা সেবারও ত্রুটি নেই। অবশেষে ডাক্তাররা পরামর্শ করে ঠিক করলেন,অপারেশন ছাড়া উপায় নেই।

    ৯ শ্রাবন (২৫ জুলাই) শান্তি নিবেতন থেকে কবিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হলো । শান্তি নিকেতনের সাথে ৭০ বছরের স্মৃতি জড়িত। কবি কি বুঝতে পেরেছিলেন এই তার শেষ যাত্রা? যাবার সময় চোখে রুমাল দিচ্ছেন দেখা গেছে।

    ৩০ জুলাই , জোড়াসাঁকোর বাড়িতে কবির শরীরে অস্ত্রোপাচার হল। তার কিছু পূর্বে শেষ কবিতা রচনা করেন ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি, বিচিত্র ছলনাজালে হে ছলনাময়ী।’

    চিকিৎসকরা অস্ত্রোপাচার করলেন তা নিস্ফল হয়। অবস্থা দ্রুত মন্দের দিকে যেতে লাগলো। ঞ্জান হারালেন। শেষ নিশ^াস পড়ল – রাখীপূর্ণিমার দিন মধ্যাহ্নে, বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২ শে শ্রাবন , ইংরেজি ১৯৪১সালের ৭ আগস্ট তারিখ কবি চলে গেলেন অমৃতলোকে।

    রবীন্দ্র ভক্তরা যেমন বাইশে শ্রাবণে অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রিয় কবিকে স্মরণ করেন, ভক্তি অর্চনা জানানÑ তেমনি কবির জীবনেও ছিল একটি বাইশে শ্রাবণ। সেই বাইশে শ্রাবণের অগ্নিকুন্ড জ্বালা নিয়ে কবিকে পার করতে হয়েছে বছরের পর বছর। তুষের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন কবি। কবির জীবনেও বাইশে শ্রাবণ একটি মৃত্যুর দিন। কবির সবচেয়ে প্রিয় দৌহিত্র নীতিন্দ্রনাথের আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ ছিল সেই বাইশে শ্রাবণের দিনে।

    যদিও এ মৃত্যু প্রথম নয়। নিজের দীর্ঘমেয়াদী জীবদ্দশায় আঙিনা দিয়ে মৃত্যু শোকের যে দীর্ঘ মিছিল শুরু হয়েছিল দৌহিত্র নীতিন্দ্রনাথের মৃত্যু ছিল মিছিলের শেষ বিন্দু। ইতোপূর্বে শোকের ঝড়ে উৎসবের প্রদীপ নিভে গেছে বারে বারে। আগেই দুই মেয়ে বেলা এবং রেনু অকালে মারা গিয়েছিলেন। আর মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে মৃত্যু ঘটে তার মায়ের।

    মা সারদা দেবী ছিলেন নিষ্ঠাবতী বৈষ্ণবী, ধর্মমতী। সাত বছর বয়সে সাত পাঁকে বাঁধা পড়েন। দেবেন্দ্রনাথের বয়স তখন সতেরো। অল্পবয়সেই প্রথম সন্তানের জননী। তারপর একে একে পনেরটি সন্তানের গর্ভধারিণী।

    জীবন স্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ মায়ের সম্পর্কে লিখেছেন, ‘যে রাত্রীতে তাঁহার মৃত্যু হয় আমরা তখন ঘুমাইতে ছিলাম। তখন কত রাত্রি জানি না, একজন পুরাতন দাসী আমাদের ঘরে ছুটিয়া আসিয়া চিৎকার করিয়া কাঁদিয়া উঠিল- ‘ওরে তোদের কী সর্বনাশ হলরে’- স্তিমিত প্রদীপে অস্পষ্ট আলোকে ক্ষণকালের জন্য জাগিয়া উঠিয়া হঠাৎ বুকটা দমিয়া গেল। কিন্তু কী হইয়াছে ভাল করিয়া বুঝিতে পারিলাম না। প্রভাতে বাহিরের বারান্দায় আসিয়া দেখিলাম তাহার সুসজ্জিত দেহ প্রাঙ্গণে খাটের উপর শয়ান।

    রবীন্দ্রনাথের বিয়ের দিনেও মৃত্যু হানা দিতে ভুল করেনি। ঠাকুর পরিবারের বিয়ে নিয়ম ছিলো একটু অন্য ধরনের। পালকি চড়ে পাত্রীকেই আসতে হতো পাত্রের বাড়ীতে। সেই বিয়ের দিনেই ঘটে এক অলুক্ষুণে অঘটন। রবীন্দ্রনাথের দিদি সৌদামিনীর স্বামী সারদা প্রসাদ ছিলেন ঘরজামাই। ছোট ভাইয়ের বিয়ের দিনেই কপালের সিদুঁর আর হাতের শাঁখা দুটি হারালেন সৌদামিনী। আর তখনো পালকিতে বলে সলজ্জা সালঙ্কারা মৃণালিনী দেবী।

    না মৃত্যু এখানে এসে থেমে থাকেনি। এবার আর এক ট্রাজেডি। বিয়ের পর চার মাস অতিক্রান্ত হতে না হতেই তার নতুন বৌঠান, জ্যোতিরিন্দ্র নাথের রূপবতী স্ত্রী কাদম্বরী দেবী পূর্ণ যুবতী অবস্থায় আত্মহত্যা করেন।

    কিন্তু আবারো কবি পরিবারে মৃত্যুর হাতছানি। মৃত্যু এসে আর একজনের শিয়রে দাঁড়ায়। মাত্র আটাশ বছর বয়সে কবি পতœীরও মৃত্যু হয়। তার আগে প্রথম সন্তান বেলার জন্ম হয় ১৮৮৮ সালে। তারপর সেজো মেয়ে রেনু এবং ছোট মেয়ে মীরা। এতোদিনে রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুর বিষয় হজম করে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন। ১৯০১ সালে বড় মেয়ে বেলার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের অল্প কিছুদিন পরেই বেলার মৃত্যু হয়। এবার মৃত্যু এসে ডাক দিয়ে যায় সেজো মেয়ে রেনুর জীবনেও।

    হারাধনের দশটি ছেলের মতো রবীন্দ্রনাথের হাতেও থাকে আর একটি মাত্র মেয়ে মীরা। মীরার বর নগেন্দ্রনাথ ছিলেন ঠাকুরবাড়ীর ঘরজামাই। এই ঘরে বংশ প্রদীপ জ্বেলে রেখেছিলো একমাত্র পুত্র নীতিন্দ্রনাথ। স্বাভাবিকভাবেই রবীন্দ্রনাথের স্নেহাস্পদের স্থানে ছিলো এই নীতিন্দ্রনাথ। তার বয়স যখন সবেমাত্র কুড়ি, অস্ফূট জীবনের কুঁড়ি যখন বিকশিত হবে রবীন্দ্রনাথ তাকে পাঠান বিলাতে। উন্নত ধরনের ছাপার কাজ ও প্রকাশন শিল্পের জ্ঞান অর্জন করে দেশে ফিরবে নীতিন্দ্রনাথ।এই প্রত্যাশ্যায়ই ছিলো কবির।

    কিন্তু নিয়তির আর এক পরিহাস। বিলেতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন নীতিন্দ্রনাথ। যক্ষ্মা রোগের জীবানুগুলো আষ্টে-পৃষ্ঠে পেঁচিয়ে ধরেছে নীতিন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথের মুখের উৎকন্ঠার আঁচগুলো প্রকট হয়ে ওঠে। এই কালব্যাধির খবর শুনে বিচলিত হয়ে ছুটে আসেন নীতিন্দ্রনাথের বাবা নগেন্দ্রনাথ। সাথে মা মীরা দেবী। ডাক্তার-ওষুধ ও চিকিৎসার জন্য অকাতরে টাকা দিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ। সাথে উৎকন্ঠা আর উদ্বেগ।

    ২১ শ্রাবণ ৬ আগস্ট মৃত্যুর সমন পৌঁছে যায় নীতিন্দ্রনাথের শিয়রে। ডাক্তারদের নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকেন তিনি। পরদিন বাইশে শ্রাবণ ১৩৩৯। ৭ আগস্ট ১৯৩২ মৃত্যই জিতে যায়। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নীতিন্দ্রনাথ।

    আর প্রিয় দৌহিত্রের মৃত্যুদিবস বাইশে শ্রাবণকে ধারণ করে কবিও বিদায় নেন আর এক বাইশে শ্রাবণে। সূত্র: বাসস

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    বিমান হামলা

    আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের

    October 10, 2025
    অনুভূত

    ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন

    October 10, 2025
    জামায়াত

    জুলাই সনদে নির্বাচন ও পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল আজ

    October 10, 2025
    সর্বশেষ খবর
    বৃষ্টি

    দুপুরের মধ্যে ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বজ্রবৃষ্টির আভাস

    বিমান হামলা

    আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের

    Nobel Peace Prize 2025

    Nobel Peace Prize 2025: Assessing Donald Trump’s Chances for the Coveted Award

    অনুভূত

    ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন

    রিজার্ভ

    রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই

    বিনিয়োগ

    বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্কের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী

    Russell Wilson

    Giants Bench Veteran Russell Wilson for Rookie Jaxson Dart in Surprising QB Shakeup

    Love Is Blind

    Love Is Blind Hosts Reveal Behind-the-Scenes Ban From Emotional Pod Reveals

    Nordstrom Fall Savings Event

    Nordstrom Fall Savings Event : Top Deals on Boots, Coats, and More

    Drake defamation lawsuit

    Judge Dismisses Drake Defamation Lawsuit Over Kendrick Lamar’s “Not Like Us”

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.