স্পোর্টস ডেস্ক : যে ভয়টা ছিল, ঠিক সেটাই হলো। চোটের জন্য পুরো বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়া, যা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে ভারতের চিন্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল। হার্দিককে ছাড়া গ্রুপ পর্যায়ের চারটি ম্যাচে ভারত জিতলেও দলের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছিল। আর সেভাবেই ভারতকে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে হবে।
কারণ হার্দিকের পরিবর্তে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সাবেক প্রসিধ কৃষ্ণকে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করা হলেও তিনি পুরোপুরি পেসার। তার ব্যাট একেবারেই ভালো নয়। ফলে অভাবনীয় কিছু না ঘটলে তাকে খেলানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। খাতা-কলমে ছিটকে যাওয়া খেলোয়াড়ের পরিবর্তন ঘোষণা করতে হয় বলে স্রেফ তাকে দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
শনিবার সকালে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর পুনেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক, তা এখনো সেরে ওঠেনি। তার ফলে হার্দিকের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গেল। তিনি আর এবারের বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না। তার পরিবর্তে প্রসিধের নাম পাঠিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বকাপের টেকনিক্যাল কমিটি। যে প্রসিধ মাত্র ১৯টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন।
অথচ প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যখন চোট পান হার্দিক, তখন মনে হয়েছিল যে মেরেকেটে একটি বা দুটি ম্যাচে (নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) খেলতে পারবেন না ভারতের সহ-অধিনায়ক। সেই ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে বোলিং করার সময় ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ গোড়ালিতে চোট লেগে যায় হার্দিকের। তার পর আর বল করতে পারেননি। ব্যাটিংয়েও নামেননি। মাঠ থেকে নিয়ে গিয়ে স্ক্যান করা হয়েছিল। স্ক্যানের রিপোর্টে তেমন উদ্বেগের কিছু মেলেনি।
সেই পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, নিউজিল্যান্ড ম্যাচে (২২ অক্টোবর) খেলতে পারবেন না হার্দিক। পরে ইংল্যান্ড ম্যাচের (২৯ অক্টোবর) জন্য দলের সঙ্গে সরাসরি লখনৌতে যোগ দেবেন। তবে সেটা হয়নি। বরং গত বৃহস্পতিবার শ্রীলংকার বিপক্ষে যখন ভারত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলতে নামে, তখনো দলে যোগ দেননি হার্দিক।
আগামীকাল রোববার ইডেন গার্ডেনসে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের জন্যও শুক্রবার ভারতীয় দলের সঙ্গে কলকাতায় আসেননি হার্দিক। ফলে একটা উদ্বেগ তৈরি হচ্ছিল। আর শনিবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়ে গেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।