স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তখন অনেকটা অভিমানের সুরেই বিশ্বকাপ খেলতে না পারার হতাশার কথা জানিয়েছিলেন দেশটির তারকা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। তবে এবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যেন পণ করেই মাঠে নেমেছেন তিনি। ব্যাটে বলে অসামান্য পারফরম্যান্সে জিম্বাবুয়েকে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক পা এগিয়ে রাখলেন ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
আগের ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে বল হাতে চার উইকেট নেওয়ার পর রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন রাজা। এদিনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঝোড়ো ফিফটির পর বল হাতে ২ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এতে জিম্বাবুইয়ানদের ২৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ক্যারিবিয়ানরা থেমে গেছে ২৩৩ রানে। ফলে ৩৫ রানের জয়ে সুপার সিক্সে সুবিধাজনক স্থানে উঠল স্বাগতিকরা।
অবশ্য এই জয়ের আগেই বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘এ’ থেকে সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেদারল্যান্ডসের। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে জিম্বাবুয়ের কাছে এই হার ভোগাতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কারণ, সুপার সিক্সে যোগ হবে গ্রুপ পর্বের প্রতিপক্ষ দলগুলোর বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্ট। ফলে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে গেল ক্রেইগ আরভিনের দল।
শনিবার (২৪ জুন) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান করেন জয়লর্ড গাম্ভি ও ক্রেইগ আরভিন। দলীয় ১১২ রান যেতে না যেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। গাম্ভি ২৬, আরভিন ৪৭, মাধব্রেরে ২ রানে বিদায় নেওয়ার পর শন উইলিয়ামস মাত্র ২৩ রান করেন।
নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করা উইলিয়ামস ব্যর্থ হলেও এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন রাজা। পঞ্চম উইকেটে রায়ান বার্লের সঙ্গে ৯৪ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। রাজা ৫৮ বলে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। আর বার্ল ৫৭ বলে করেন ৫০ রান। ৪০.৫ ওভারে ২০০ করা জিম্বাবুয়ের রানটা আরও বড় হতে পারত। তবে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তা আর হয়নি। ফলে শেষমেশ ৪৯.৫ ওভারে ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
২৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ১২ বলে ২০ রানে ব্রেন্ডন কিং আউট হওয়ার পর রানের গতি কমে যায় ক্যারিবীয়দের। তিন নম্বরে ক্রিজে আসা জনসন চার্লস (১) দ্রুত ফিরলেও অধিনায়ক শাই হোপের সঙ্গে জুটি গড়েন কাইল মায়ার্স। তবে ৭২ বলে ৫৬ রান করে স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাজার বলে আউট হন মায়ার্স।
গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করা হোপ এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি, পারেননি নিকোলাস পুরানও। উইকেটে থিতু হয়েও দুজনেই আউট হয়েছেন ৩০-এর ঘরে। শেষ ২০ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯৩ রান হাতে ছিল ৬ উইকেট। তবে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি শাই হোপের দল।
শেষ ১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৫২ রান, হাতে ছিল ৪টি উইকেট। তবে জেসন হোল্ডার, কিমো পল, রোস্টন চেজরা সেটা আর করতে পারেননি। জিম্বাবুইয়ান বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ২৩৩ রানে। এতে জিম্বাবুয়ের কাছে ৩৫ রানে হেরেছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের বল হাতে টেন্ডাই চাতারা নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া ২ উইকেট করে নিয়েছেন সিকান্দার রাজা, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।