স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার এখন উৎসবের শহর। মরুর বুকে যেখানেই চোখ যায়, শুধুই বিশ্বকাপের আমেজ। প্রচুর অর্থ খরচ করে সাজানো হয়েছে পুরো দেশ। ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে ফুটবল যুদ্ধ। একটা সোনালি ট্রফির জন্য লড়বে ৩২টি দেশ। এ যুদ্ধের জন্য দীর্ঘ চার বছর ধরে অধীর অপেক্ষা ছিল সমর্থকদের।
এশিয়ার মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ঠিক ২০ বছর আগে। কোরিয়া-জাপানে আয়োজিত সে আসর দারুণ সফল হয়েছিল। এশিয়ার মাটিতে ফের বসেছে বিশ্বকাপের আসর। এবারের ভেন্যু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। আরবের মরুভূমিতে এবারই প্রথম ঘ্রাণ ছড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবলের নান্দনিক ফুল। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল এই বিশ্বাকাপ নানা কারণেই অনন্য।
বিশ্বকাপ ফুটবলে এক মাসের স্নায়ুক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ট্রফি উঠবে বিজয়ী দলের হাতে। সমর্থকদের কৌতূহল থাকে বিশ্বকাপে খেলে কেমন অর্থ আয় করেন ফুটবলাররা? বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি এবার ছাড়িয়ে গেছে আগের সব আসরকে। রাশিয়ায় আয়োজিত সবশেষ বিশ্বকাপের চেয়ে কাতার বিশ্বকাপে প্রাইজমানি বেড়েছে ৬০ লাখ ডলার। ২০২২ বিম্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
রানার্সআপ দল পাবে ৩ কোটি ডলার। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বিজয়ী দলের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। চতুর্থ হওয়া দল পাবে ২কোটি ৫০ লাখ ডলার। পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থানে থাকা দলগুলো পাবে এক কোটি ৭০ লাখ ডলার করে। সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। নবম থেকে ১৬তম দলের প্রত্যেকেই পাবে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
১৭ থেকে ৩২তম দলের প্রত্যেকেই পাবে ৯০ লাখ ডলার করে। সব মিলিয়ে ১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেয়া হবে দলগুলোকে। কাতার বিশ্বকাপে কোন দল যদি একটি ম্যাচও না জিততে পারে, তবুও শুধু অংশ নেয়ার জন্যই পাবে ১২ লাখ ডলার। প্রতিটি দলের জন্যই থাকবে একই রকম বরাদ্দ।
ভালো পারফর্ম করতে পারলে, নিজ দেশের খেলোয়াড়দের লোভনীয় অর্থ পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে ফেডারেশনগুলো। তাই এখন শুধু যুদ্ধজয়ের জন্য প্রস্তুতিতে মশগুল ফুটবলাররা। মূল মঞ্চে নেমেই যে দেখাতে হবে ঝলক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।