আর্জেন্টিনার নাম শুনলেই সবার ফুটবলের কথা মনে পড়ে যায়। তবে ফুটবলের বাহিরেও দেশটির অনেক সেনা শাসন এবং যুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে যা নাটকীয়তায় ভরা। আর্জেন্টিনার জনগণ গৃহযুদ্ধের মত ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।
আর্জেন্টিনা অনেকটা সময় জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেলেও একটি ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এবং আয়তনে বিশাল বড়।
১৯৩০ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ছয় বার সেনা অভ্যুত্থানের শিকার হয়েছে দেশটি। ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে দেশটির জনগণকে।
১৯৪৬ সালে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর দেশটির অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। ১৯৭৪ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
১৯৭৬ সালে জোর করে সেনারা দেশের ক্ষমতা দখল করার পর ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দলটি ডার্টি ওয়ার বা নোংরা যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই সময় স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছিল।
সেনা শাসন নিয়ে যারা সমালোচনা করেছেন সবাইকে অনেক চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষার্থীসহ কাউকে পরোয়া করা হয়নি।
ওই সময়ে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়। ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে আর্জেন্টিনার সেনারা যুদ্ধে জড়ায়। এ যুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে তাদের শোচনীয় পরাজয় ঘটে।
এরপর থেকে সেনা শাসনের অবসান ঘটে এবং এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রের শাসন অব্যাহত রয়েছে। আর্জেন্টিনার সরকার যখন যারাই ক্ষমতায় ছিলো দেশটির শিক্ষা সেক্টরকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছে।
আর্জেন্টিনার শিল্প, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি সবকিছুই সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। শুধু ফুটবলের কারণে আর্জেন্টিনার খ্যাতি থাকলেও তাদের ইতিহাস যথেষ্ট বৈচিত্র্যময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।