আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়ারসহ বিশ্বের নামীদামি ও ক্ষমতাধর দেশ করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে নাকানিচুবানি খেলেও ম্যাজিক দেখিয়েছে ভুটানে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড নাইনটিনে মাত্র সাত জন আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য। আগেভাগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও নিয়ম মেনে চলার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানালেন দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসকরা।
গত ৬ মার্চ ভারত সফর করা ৭৬ বছর বয়সী এক মার্কিন নাগরিকের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা জানায় ভুটান। এরপরপরই ওই ব্যক্তির সঙ্গী, চালক, টুর গাইডসহ তার সংস্পর্শে আসা ৯০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সব বিদেশি পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করে ভুটান। রাজধানী থিম্পুসহ তিনটি অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও জনসচেতনতার কারণেই দেশটিতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো গেছে বলে মনে করেন দেশটিতে কর্মরত এই বাংলাদেশি চিকিৎসক ভুটান ওয়াংদি হাসপাতাল অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. কে এম সোহেল আসকার।
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ছাড়াও সর্দি কাশির রোগীদের জন্য খোলা মাঠে আলাদা ফ্লু ক্লিনিক চালু করেছে দেশটি। ফ্লু ক্লিনিকে প্রবেশের আগে পরে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এগুলোও করোনা নিয়ন্ত্রণের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন এই সংশ্লিষ্টরা।
জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ন্যাশনাল রেফারেল হাসপাতাল অ্যানেসথেসিওলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মাহবুবে মোস্তফা বলেন, ‘করোনা পজিটিভ রোগীদের জন্য আলাদা একটা ভবন করা হয়েছে। আর করোনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে কীট দেয়া হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
এই দুই চিকিৎসকের মতো আরো ১৯ জন বাংলাদেশি চিকিৎসক মানবসেবায় কাজ করছেন ভুটানে। সূত্র : সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।