জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘ওয়ালটন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তাদের বিলিয়ন ডলারের টার্নওভার আছে। সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত মানের কারণে ওয়ালটনের উৎপাদিত পণ্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রপ্তানি হচ্ছে। ওয়ালটন বিশ্বজুড়ে চমৎকার ব্যবসা করছে।’
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির এমিরেটস প্যালেস হোটেলে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবিতে ওই ফ্ল্যাশ মবের আয়োজন করে বিএসইসি। এর আগে বুধবার (৯ মার্চ) দুবাই ফেস্টিভ্যাল সিটির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথম ফ্ল্যাশ মব অনুষ্ঠিত হয়।
এ আয়োজনের উদ্দেশ্য—প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলা। অনুষ্ঠান দুটিতে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। আমদানিনির্ভর দেশ থেকে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যে বাংলাদেশকে রপ্তানিমুখী দেশে পরিণত করায় উভয় অনুষ্ঠানে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল কালাম আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং রেফ্রিজারেটরের সিবিও প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটনসহ বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আবুধাবিতে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ‘ভোট অব থ্যাঙ্কস’ পর্বে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আনিসুর রহমান মল্লিক (ছবি: মিলটন আহমেদ)
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সঙ্গে কাজ অব্যাহত আছে। আগামী দিনে জাতীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নে বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় দেশ হবে বাংলাদেশ।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। এ ধরনের রোড শো করার উদ্দেশ্য হলো—নতুন বাংলাদেশে কী ঘটছে, তা তুলে ধরা। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ নিজেকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। আপনারা অনুগ্রহ করে বাংলাদেশে আসুন। ঘুরে দেখুন এবং বিনিয়োগ করুন। এক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা পাবেন।’
‘ভোট অব থ্যাঙ্কস’ পর্বে ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘এ ধরনের একটি চমৎকার আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশ এখন শুধু ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ওয়ালটনের তৈরি এসব পণ্য রপ্তানিতে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পেরে আমরা গর্বিত।’
তিনি ওয়ালটনের অত্যাধুনিক পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে সবাইকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।