আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু হয়েছে কোভিড পাসপোর্ট। পর্যটকদের জন্য ক্রমেই তা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। সাধারণত মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপের মাধ্যমে এই পাসপোর্টের অ্যাক্সেস দেওয়া হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কাগুজে পাসপোর্টও আছে। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের সাতটি দেশে চালু হয়েছে কোভিড পাসপোর্ট। কিছু ক্ষেত্রে কাগুজে পাসপোর্টও আছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ:
নিজস্ব ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর আওতাভুক্ত ২৭ দেশের নাগরিকেরা ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন করে এর একটি কপি ডাউনলোড করে নিজেই বিনা মূল্যে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
এমনকি ইইউ’র দেশগুলোতে বৈধভাবে বসবাসরত নন-ইইউ নাগরিকেরাও এই পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন, যেহেতু তাদেরও বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের অধিকার রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র:
গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউজ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য ফেডারেল কোভিড ভ্যাকসিনেশন পাসপোর্ট চালুর ঘোষণা দেয়। যদিও কোভিড ভ্যাকসিনেশনে জনগণকে উতসাহিত করতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য পৃথক কর্মসূচি চালু করে। ক্যালিফোর্নিয়ায় স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে টিকা প্রদানের প্রমাণ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য:
এই মুহূর্তে উচ্চঝুঁকিতে থাকা যুক্তরাজ্যর নাগরিকদের নাইট ক্লাবে ঢুকতে হলে ভ্যাকসিনেশনের প্রমাণ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কর্তৃক সম্প্রতি গৃহীত নতুন পরিকল্পনা অনুসারে নাগরিকদের ভ্যাকসিনেশন প্রমাণের জন্য এনএইচএস কোভিড পাশ অ্যাপের আওতায় আসতে হবে। শুধু নাইট ক্লাবই নয়, বিপুল জনসমাগমের মধ্যে প্রবেশ করতে হলে প্রত্যেককেই এই অ্যাপ দেখাতে হবে।
চীন:
কিউআর কোড সিস্টেমে নাগরিকদের বিভিন্ন রঙে চিহ্নিত করেছে চীন। সবুজ রঙের কোড বলে দেবে, লোকটি বিনা বাধায় যে কোনও এলাকায় প্রবেশের অধিকার রাখেন। হলুদ রং জানিয়ে দেয়, লোকটিকে কমপক্ষে সাত দিন ঘরে থাকতে হবে।
কম্পিউটারে তথ্য-উপাত্ত জমা দিয়ে চীনাদের এই কোডগুলো সংগ্রহ করতে হয়। চীনের অনেক পাবলিক প্লেসে প্রবেশের ক্ষেত্রে এই কোডগুলো কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর বাইরে গত মার্চ থেকে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদ চালু করেছে চীন।
অস্ট্রেলিয়া:
বর্তমানে টিকাপ্রাপ্ত অস্ট্রেলীয়দের ফোনে ফোনে ডিজিটাল সার্টিফিকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সার্টিফিকেটের আওতা কিংবা বিশেষ কার্যকারিতা নির্দেশ করা হয়নি।
তবে দেশটির পর্যটনমন্ত্রী ড্যান তিহান বলেছেন, অষ্ট্রেলিয়ার সীমানা অতিক্রম কিংবা লকডাউনে চলাচলের জন্য এই সার্টিফিকেট ভূমিকা রাখবে।
ফ্রান্স:
রেস্তোরাঁ ও পানশালায় প্রবেশ কিংবা বিমান বা ট্রেনে ভ্রমণের সময় ‘হেলথ পাশ’ বাধ্যতামূলক করেছে ফরাসি সরকার। পাশাপাশি নিয়ম করা হয়েছে, যেসব জায়গায় ৫০-এর বেশি লোক একসঙ্গে থাকেন কিংবা কাজ করেন, তাদের সবাইকে কোভিড টেস্ট নেগেটিভ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্যই ‘হেলথ পাশ’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে দেশটিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।