আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সব উন্নত দেশই যে ব্যয়বহুল তা নয়। তবে কিছু দেশে বসতি গড়ার আগে আপনাকে খরচ নিয়ে ভাবতে হবে। জেনে নিন বিশ্বের ব্যয়বহুল পাঁচ দেশের কথা।
আইসল্যান্ড
আগ্নেয়গিরির লাভার কারণে দেশটির সমুদ্রসৈকত কালো। রাজধানী রেইক্ভাইভিকের মাটি কিছুটা চাঁদের পৃষ্ঠের মতো। রাতের আকাশের সবুজাভ আলো অর্থাৎ নর্দান লাইটস বা অরোরা দেখা যায় বলে ট্র্যাভেল ব্লগার ও পর্যটকদের কাছে আইসল্যান্ড বেশ জনপ্রিয়। প্রাকৃতিক কারণেই দেশটিতে কৃষিপণ্য উৎপাদন করা বেশ কঠিন। খাদ্যপণ্য আমদানি করার ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যের দাম বেশি। দেশটিতে বাসাভাড়া বাদে চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ ৪ হাজার ৪৪৪ ডলার।
বারবাডোজ
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের একটি দেশ বারবাডোজের মূল আয়ের উৎস পর্যটন। এই দেশের স্বচ্ছ নীল সমুদ্র ও ঝকঝকে আকাশের নিচে বাস করতে চাইলে খাবার, গণপরিবহন, পোশাক, বিনোদনকেন্দ্রের জন্য প্রচুর অর্থ গুনতে হয়। খাবার আমদানি করা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে। দেশটিতে থাকার খরচ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি। বারবাডোজে চারজনের পরিবারের বাসাভাড়া বাদে মাসিক খরচ ৪ হাজার ৪৮৩ ডলার।
নরওয়ে
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মধ্যে নরওয়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশ। খাদ্যপণ্যের জন্য প্রচুর খরচ করতে হয় সে দেশে। খাবারের জন্য ভ্যাট দিতে হয় ১৫ শতাংশ। পাশের দেশ সুইডেনের চেয়ে নরওয়ের খাদ্যমূল্য প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। দেশটিতে বাসাভাড়া বাদে চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ ৪ হাজার ৪৮৩ ডলার।
সুইজারল্যান্ড
জীবন চালাতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুরই দাম বেশি এখানে। খাবার, পানীয়, হোটেল, রেস্তোরাঁ, বাসাভাড়া, কাপড় বা স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রচুর ব্যয় করতে হয় সে দেশে। নিউইয়র্কের চেয়ে সুইজারল্যান্ডে বাসাভাড়া দ্বিগুণ। দেশটিতে বাসাভাড়া বাদে চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ ৫ হাজার ৮২৪ ডলার।
বারমুডা
গুগল ম্যাপে এই দেশের আকার দেখতে হলে বেশ কয়েক দফা জুম বাটনে ক্লিক করতে হয়। ৫২ কিলোমিটারের এই দ্বীপরাষ্ট্রের মালিক যুক্তরাজ্য। ছোট্ট এই দেশে কোনো ফসল উৎপাদন করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাহাজে আসা পণ্যই তাদের ভরসা। দেশটির বাসিন্দাদের স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ট্যাক্স দিতে হয়। অতিরিক্ত খরচ করতে হয় খাদ্যপণ্য আর জ্বালানির পেছনে। দেশটিতে চারজনের পরিবারের বাসাভাড়া বাদে মাসিক খরচ ৬ হাজার ৭১৭ ডলার।
সূত্র: নামবিও ডটকম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।