এ দুনিয়ার বিলিওনার ব্যক্তিরা কোথায় বসবাস করেন তা নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো তারা সব সময় নামিদামি শহরে বাস করে এরকম নাও হতে পারে। অনেক ব্যক্তিরা এরকম জায়গায় বাস করে থাকেন যা গ্রামের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। সর্বশেষ ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিলিওনারদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে দশটি সিটি নির্বাচন করা সম্ভব যেখানে তারা সবথেকে বেশি বাস করে। এ দশটি সিটি নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে।
সান ফ্রান্সিসকো
আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহরে বিলিওনিয়ারদের 185 বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। এখানে বাস করে থাকেন ওপেনহেইমারের মত জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিনিয়োগকারী স্যাম অল্টম্যান। এ শহরে মোট ৫০ জন বিলিওনিয়ার বাস করে বলে ম্যাগাজিন এ উল্লেখ করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর
তালিকার নবম স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর যেখানে ৫২ জন বিলিওনিয়ার বাস করে থাকেন। বিলাসবহুল শহর হিসেবে সিঙ্গাপুরের বেশ সুনাম রয়েছে। প্রায় সময় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধনী ব্যক্তিরা এখানে ট্যুর দিকে আসেন। ১৫৬ বিলিওন ডলারের সম্পদ সিঙ্গাপুরে রয়েছে।
লস এঞ্জেলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস শহরে বিলিওনিয়ারদের ২২২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। এখানে মোট ৫৩ জন বিলিওনিয়ার বাস করে থাকেন। অনেক জনপ্রিয় খেলোয়াড় থেকে শুরু করে তারকারা এই লস এঞ্জেলস শহরে বাস করে থাকেন। বিশেষ করে মার্কিন টেলিভিশন তারকা কিম কার্দাশিয়ানের কথা আলাদাভাবে না বললেই নয়।
নিউ ইয়র্ক সিটি
১১০ জন বিলিওনিয়ার নিয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত নিউ ইয়র্ক সিটি। যা পূর্বের বছরের তুলনায় নয়জন বেশি। এদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৯৩ বিলিয়ন ডলার। শহরটিতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী মাইকেল ব্লুমবার্গের বসবাস। যার মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মস্কো ও হংকং
৭৪ জন বিলিওনিয়ার নিয়ে তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মস্কো ও হংকং। এক্ষেত্রে বছর দুই আগেও তালিকায় মস্কো ছিল ১২ নম্বরে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে শহরটিতে বিলিওনিয়ারের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। মস্কোর শীর্ষ ধনী তালিকায় রয়েছে ভ্যাগিট আলেকপেরভ; যার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৮.৬ বিলিয়ন। গত বছরের তুলনায় শহরটিতে বিলিওনিয়ারের সংখ্যা ১২ জন বেড়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম গ্লোরিয়া জিনসের ভ্লাদিমির মেলনিকভ (১.৭ বিলিওন)। হংকংয়ে বিলিওনিয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩২৬ বিলিয়ন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ধনী লি ক্যা-শিং-এর সম্পদের পরিমাণ ৩৭.৩ বিলিয়ন ডলার। শহরটিতে গত বছরের তুলনায় বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়েছে চারজন।
মুম্বাই
৬৯ জন বিলিওনিয়ার নিয়ে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই। যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৭৯ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে শীর্ষে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি; যার সম্পদের পরিমাণ ১১৬ বিলিয়ন ডলার। শহরটিতে চলতি বছর নতুন করে ১১ জন বিলিওনিয়ার এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এছাড়াও বিলিওনিয়ারের তালিকায় রয়েছে মুম্বাই ভিত্তিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনস্ট্রাকশন জায়ান্ট শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের শাপুর মিস্ত্রি (৯.৯ বিলিয়ন)।
বেইজিং
৬৩ জন বিলিওনিয়ার নিয়ে তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং। যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২১১ বিলিয়ন ডলার। এদের মধ্যে শীর্ষ ধনী জ্যাং ইমিং। যার সম্পদের পরিমাণ ৪৩.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নেওয়ার পর থেকে শহরটি প্রায় ৩২ জন বিলিয়নিয়ার হারিয়েছেন। একইসাথে চলমান অর্থনৈতিক সংকটে পূর্বের বছরের তুলনায় তাদের সম্পদ কমেছে শতকরা ১৪ ভাগ।
লন্ডন
৬২ জন বিলিওনিয়ার নিয়ে তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে লন্ডন। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদের মধ্যে শীর্ষ ধনী লেন ব্লাভাটনিক; যার সম্পদের পরিমাণ ৩২.১ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছর বিলিওনিয়ারের তালিকায় নতুন করেন কেউ যুক্ত হয়নি।
সাংহাই
৫৪ জন বিলিওনিয়ার নিয়ে তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে চীনের আরেক শহর সাংহাই। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬৭ বিলিয়ন ডলার। এদের মধ্যে শীর্ষ ধনী কলিন হুয়াং; যার মোট সম্পদ ৩৮.৯ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের তুলনায় শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১ বিলিওনিয়ার কমেছে সাংহাইতে। আর দেশটির অন্যান্য শহরের মতো এখানেও অর্ধেক বিলিওনিয়ারের পূর্বের তুলনায় সম্পদের পরিমাণও কমেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।