বড় পরিসরে পরিবহন মাধ্যম হিসেবে জাহাজের জনপ্রিয়তা রয়েছে। ক্ষমতা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী জাহাজের আকার ও আকৃতি ভিন্ন হতে পারে। ভৌগলিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয় জাহাজের মাধ্যমে। এ কারণে আমরা সাগরে এসব জাহাজ দেখতে অভ্যস্ত।
পোশাক, কয়লা, তেল সহ প্রায় সব ধরনের পণ্য জাহাজে করে রপ্তানি করা যায়। কন্টেইনার জাহাজ, রো রো জাহাজ, বাল্ব ক্যারিয়ার ও ওয়েল ট্যাংকার হচ্ছে কার্গো জাহাজের অন্তর্ভুক্ত। এভারগ্রীন কন্টেইনারশিপ হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে বৃহত্তম মালবাহী জাহাজ।
এটি ২৪ হাজারের বেশি স্ট্যান্ডার্ড সাইজের কন্টেইনার বহন করতে পারে। তিন থেকে চারটি ফুটবল মাঠ একসাথে কল্পনা করলে আপনি জাহাজের বিশালতা বুঝতে পারবেন। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার। পাশাপাশিটির প্রস্থ ৬১.৫০ মিটার।
২০২২ সালে চীনের কোম্পানি এটি তৈরি করেছিল। হুন্দাই মার্চেন্ট মেরিন আলজেসিয়াস জাহাজটি তৈরি করা হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। আর মেরিন অসলো জাহাজটি ২০২০ সালে নির্মাণ করা হয়। ২৩ হাজার ৯০০ টি স্ট্যান্ডার্ড কন্টেইনার বহন করতে পারে এ জাহাজটি।
এ জাহাজ প্রায় ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬১ মিটার চড়া। এর তলদেশ সাগরপৃষ্ঠ থেকে ১৩ মিটার নিচে নিমজ্জিত হতে পারে। পালতোলা জাহাজ বায়ু মাধ্যমের উপর নির্ভর করে চলে। পালতোলা ইয়ট জাহাজের মধ্যে ’সেইলিং ইয়ট এ’ দুনিয়ার সবথেকে বড় আকারের।
আপনি এটাকে ইয়ট এবং পালতোলা নৌকার হাইব্রিড বলতে পারেন। এখানে তিনটি বিশাল আকারের মাস্তুল দেখতে পারবেন। এ বিলাসবহুল জাহাজে একসাথে ৬০ জন যাত্রী থাকতে পারে। সর্বোচ্চ ২১ নট গতির এই জলযানের দাম প্রায় ৪২৫ মিলিয়ন ইউরো।
’সি ক্লাউড টু’ জাহাজটি ১৭ মিটার লম্বা। এখানে তিনটি মাস্তুল এবং ২৩টি পাল রয়েছে। ৯৫ জন যাত্রী এখানে অবস্থান করতে পারে। এটি সর্বোচ্চ ১৪ নট গতিতে ছুটতে সক্ষম। এ জাহাজের দাম ১০০ মিলিয়ন ইউরো। ’ওয়ান্ডার অব দ্য সি’ জাহাজটি দেখতে বিস্ময়কর এবং বিশাল।
এ জাহাজটি ২২ নট গতিতে ছুটতে পারে। একই সাথে ৬০ হাজার যাত্রী এখানে অবস্থান করতে পারে। সুইমিং পুল, রেস্তোরা সহ বিলাসবহুল আয়োজন রয়েছে এখানে। আজম হচ্ছে মোটর চালিত সমুদ্রযান এবং এটি বিশ্বের সবথেকে বড় ইয়ট। ইয়েটির মূল্য ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। এটি ৩৬ জন অতিথি এবং ৮০ জন ক্রু নিয়ে চলতে পারে। ৩২ নট গতিতে ছুটতে সক্ষম এই ইয়টটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।