লাইফস্টাইল ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে দুবাই আন্তর্জাতিক মোটর প্রদর্শনীতে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন ইলেকট্রিক গাড়ি প্রদর্শিত হয়েছে। জাপানের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাসপার্ক বিদ্যুৎচালিত এ গাড়িটি নির্মাণ করেছে। “আউল” নামের এ গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫০ মাইল।
অ্যাসপার্কের মতে, আউল’এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা ১ দশমিক ৬৯ সেকেন্ডে ৬০ এমপিএইচ (মাইল প্রতি ঘণ্টায়) পর্যন্ত গতিবেগ তুলতে পারে। বর্তমানে প্রচলিত গাড়ি যেমন “রিম্যাক কনসেপ্ট টু” এবং “টেসলা রোডস্টার” একই গতিবেগ তুলতে সময় নেয় যথাক্রমে ১ দশমিক ৮৫ ও ১ দশমিক ৯০ সেকেন্ড। অর্থাৎ, আউল তাদের চেয়ে কিছুটা কম সময় নেবে।
আউলের উচ্চতা মাত্র ৩৯ ইঞ্চি। এতে রয়েছে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের লিথিয়াম আয়নের ব্যাটারি যার মাধ্যমে আউল একটানা ২৮০ মাইল পর্যন্ত চালতে পারবে। অ্যাসপার্ক জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তারা আরও শক্তিশালী ব্যাটারি বাজারে আনবে।
কোম্পানিটি বৈদ্যুতিক গাড়ি বানানোর কথা প্রথম চিন্তা করে ২০১৭ সালে। অ্যাসপার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ পৃথিবী আরও বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে উঠবে যদি মানুষ বেশি রোমাঞ্চকর জিনিসের কথা চিন্তা করে। সে কারণেই আমরা কখনো আমাদের লক্ষ্য থেকে পিছপা হবো না এবং আমরা আউলের মতো আরও অনেক রোমাঞ্চকর জিনিস তৈরি করতে থাকব।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাসপার্ক আরও জানায়, আউলের রয়েছে শক্তিশালী চারটি বৈদ্যুতিক মোটর। গাড়িটির মোট ক্ষমতা ১ হাজার ৪৮০ কিলোওয়াট। সেটি টর্ক উৎপন্ন করবে ২ নিউটন মিটার এবং এটি ২ হাজার ১২ হর্সপাওয়ারের।
অ্যাসপার্কের মতে, ফর্মুলা-ই গাড়িগুলোর চেয়ে আউল তিনগুণ এবং ফর্মুলা-১’এর চেয়ে দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন। মোটরের আবর্তন ক্ষমতা হবে ১ হাজার ৫০০ আরপিএম, যা এযাবৎকালের গাড়িগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। আউলের প্যানেলগুলো হবে কার্বন ফাইবারের। তবে গাড়িটির ছাদের ফ্রেম তৈরি করা হবে স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে।
গাড়িটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে ইতালির তুরিনে। সেখানে ইতালিয়ান কোম্পানি “অটোমোবিলো তুরিনো”এর সঙ্গে সমন্বিত হয়ে অ্যাসপার্ক আউলকে বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি আউল বাজারে আসতে পারে বলে জানিয়েছে অ্যাসপার্ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।