বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে বিক্রি হচ্ছে ১০টি এসি
জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বের উষ্ণ দেশগুলোর তাপমাত্রা আরও বেড়েই চলছে। এসব দেশের একের পর এক বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, যা এক সময় ছিল চিন্তার বাইরে। এ গরমে মানুষজন নিজেদের স্বস্তির জন্য নির্ভরতা বাড়িয়ে দিয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসির ওপর। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে বিক্রি হচ্ছে ১০টি এসি।
ফ্রান্সের স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইএ) গবেষণাটি করেছে।
সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে ফ্যান, এসি ও ফ্রিজের মতো শীতলীকরণ যন্ত্রের জন্য বিশ্বে ২ হাজার টেরাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে, যা সমগ্র আফ্রিকা জুড়ে ব্যবহৃত মোট বিদ্যুতের আড়াই গুণের সমান। পরিস্থিতি বিবেচনায়, এখন থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে ১০টি এসি বিক্রি করা হবে। ওই সময় পর্যন্ত বিশ্বে ৭০ শতাংশ এসির ব্যবহার বেড়ে যাবে। এতে ৬ হাজার ২০০ টেরাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ খরচ হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থা সাসটেইনেবল এনার্জি ফর অলের একটি গবেষণায় বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের শহর ও গ্রামের প্রায় ১২০ কোটি দরিদ্র মানুষ রেফ্রিজারেটর, এসির মতো শীতলীকরণ যন্ত্র না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে গরম দিনগুলোতে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদার দুই তৃতীয়াংশই ফ্যান ও এসির মতো শীতলীকরণ যন্ত্রের জন্য খরচ হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সৌদি আরবে বার্ষিক বিদ্যুৎ চাহিদার ৭০ শতাংশই এসির পেছনে ব্যয় হয়। ধীরে ধীরে ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়াতেও এই এসির চাহিদা বাড়ছে। এতে করে, এই দেশগুলোতে অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য আরও ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
এদিকে বুধবার জাতিসংঘ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে এক সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে যে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। এ হিসেবে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আগামী পাঁচ বছরই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, তা এখন হুমকির মুখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।