বিজ্ঞানীরা সুপারকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন। এটি বিনা প্রতিরোধে বিদ্যুৎ পরিচালনা করতে পারে এমন পদার্থ নিয়ে কাজ করে। প্রকৃতিতে পাওয়া সীমিত সংখ্যক সুপারকন্ডাক্টরের মধ্যে গবেষকরা বিশ্বের প্রথম ‘unconventional’ সুপারকন্ডাক্টর চিহ্নিত করেছেন যা প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে।
সুপারকন্ডাক্টররা কোন শক্তির ক্ষতি ছাড়াই বৈদ্যুতিক প্রবাহ বহন করার সক্ষমতার জন্য প্রশংসিত হয়। একাধিক কপারের গঠনের মাধ্যমে এটি অর্জিত হয় যেখানে ইলেকট্রন জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি হয় এবং নিদির্ষ্ট উপাদানের মাধ্যমে অনায়াসে চলতে পারে। প্রচলিত সুপারকন্ডাক্টরের বিপরীতে এরা অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে ও এখানে উচ্চ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়।
বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছে যে, খনিজ মিয়াসাইট তার সুপারকন্ডাক্টিং বৈশিষ্ট্যের জন্য বেশ পরিচিত। একটি অপ্রচলিত সুপারকন্ডাক্টরের বৈশিষ্ট্য তারা প্রদর্শন করে। শুধুমাত্র গবেষণাগারে সংশ্লেষিত হওয়ার বিপরীতে প্রকৃতিতে মায়াসাইটের উপস্থিতি বিবেচনা করলে এই আবিষ্কারটি বেশ অসাধারণ।
যদিও প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া মায়াসাইট অপ্রচলিত সুপারকন্ডাক্টিভিটির জন্য প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধতা এনে দিতে পারে না। ল্যাবরেটরি-সংশ্লেষিত মিয়াসাইট ভবিষ্যতে বেশ কাজে আসবে। গবেষকরা London penetration depth test এবং examinations of material defects সহ মিয়াসাইটের অপ্রচলিত সুপারকন্ডাক্টিভিটি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পরীক্ষা করেছিলেন।
রোডিয়াম এবং সালফার উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত মিয়াসাইট বৈশিষ্ট্যের অনন্য সমন্বয় গবেষকদের আগ্রহী করে তোলে। এই আবিষ্কারটি কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের অগ্রগতি এবং অপ্রচলিত সুপারকন্ডাক্টরের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার নতুন পথ খুলে দেয়।
আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির একজন পদার্থবিজ্ঞানী পল ক্যানফিল্ড এ আবিষ্কারের তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। তিনি এটিকে একটি গুপ্তধনের সন্ধানের সাথে তুলনা করেছেন। Miassite অন্যান্য নতুন আবিষ্কৃত সুপারকন্ডাক্টর সহ ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য অপার সম্ভাবনা রাখে।
এমআরআই স্ক্যানার এবং কণা অ্যাক্সিলারেটরের মতো প্রযুক্তিতে এ পদ্ধতি ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সুপারকন্ডাক্টর আরও অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতির সম্ভাবনার প্রস্তাব দেয়। অপ্রচলিত সুপারকন্ডাক্টিভিটির পিছনের প্রক্রিয়া বোঝা এ পদ্ধতি বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।