জুমবাংলা ডেস্ক : বর্তমান সময়টা বেশ রুক্ষ। একদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ মরছে, অন্যদিকে উল্লাসে ভাসছে কেউ কেউ। কেউ ক্ষুধার যন্ত্রণায় ধুঁকছে, কেউ দেদারসে খাদ্য নষ্ট করছে। কেউ কারও দিকে তাকানোর প্রয়োজন অনুভব করছে না। যান্ত্রিক এই সময়ে মানুষও যেন দিনে দিনে সহানুভূতিহীন হয়ে পড়ছে।
এমন প্রেক্ষাপট ভেবেই সহানুভূতি দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিশ্ব সহানুভূতি আন্দোলন। এরপর বিভিন্ন দেশে সহানুভূতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বরকে ‘বিশ্ব সহানুভূতি দিবস বা ওয়ার্ল্ড কাইন্ডনেস ডে’ হিসেবে পালন করা হয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর উন্নয়নের পাশাপাশি শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যখন আত্মশক্তির হাতিয়ার হিসেবে পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন ও আবিষ্কারে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ১৯৯৭ সালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব শান্তি সম্মেলন। আমন্ত্রণ করা হয় সারা বিশ্বের জননেতাদের। তাদের নিজ নিজ দেশের শান্তির গল্প বলার জন্য।
সেই সম্মেলনেই সিদ্ধান্ত হয় ১৯৯৮ সালে পালন করা হবে আরেকটি সম্মেলন। গঠন করা হয় ‘বিশ্ব সহানুভূতি আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। সেই সংগঠনই পালন করে প্রথম বিশ্ব সহানুভূতি দিবস। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।