স্পোর্টস ডেস্ক : যাত্রা শুরু হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। রাজনৈতিক পালাবদলের প্রভাব পড়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। দেশের অনেক ক্রীড়া সংস্থা ও ফেডারেশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের খোঁজ নেই! ক্রীড়াঙ্গন পড়েছে বড় সংকটে। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ ভবিষ্যৎ নিয়েও।
ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। শুধু সংসদ সদস্যই নন, তিনি সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছেরও ছিলেন। গত জানুয়ারিতে গঠিত মন্ত্রিসভায় তিনি পান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ক্ষমতার পটপরিবর্তনে বোর্ড সভাপতি পাপনসহ বেশির ভাগ পরিচালকেরা আছেন আত্মগোপনে! পাপন কোথায় আছেন, ক্রিকেট বোর্ডের কেউ জানেন না। গত এক দশকের ক্রিকেট বোর্ডের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, দল—নির্বাচন নিয়ে নানা স্বজনপ্রীতির অভিযোগের ফিরিস্তি নিয়ে প্রতিদিনই বিসিবিতে মিছিল আর শোডাউন দিচ্ছে একটি রাজনৈতিক পক্ষ।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মত তুলে ধরেছেন বিসিবির অতীত অনিয়ম নিয়ে, দিচ্ছেন মত। সঙ্গে পরিবর্তনের দাবিও তুলছেন। কাল যেমন সাবেক ক্রিকেটার আফতাব আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গত ১৫ বছরে যাঁরা ছিলেন, ভালো কিছু করেননি। এখন নতুন কিছু মানুষকে দরকার, যাঁরা পরিবর্তন আনতে পারবেন।’
গতকাল ‘এ’ দলের অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এনামুল হক বিজয় জানান, সেই পরিবর্তনের কথা। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে পরিবর্তন আশার সুযোগ আছে। কোনো কিছুই দুই-পাঁচ দিনে আশা সম্ভব না। এটা পর্যায়ক্রমে হওয়া সম্ভব। আমরা সবাই আশা করি, প্রতিটা পদক্ষেপ নতুন আশার সঞ্চার করবে। আমরা চাই, সবকিছুই সুন্দরভাবে এগিয়ে যাক।’
দল নির্বাচনে সামনের দিনে আরও বেশি স্বচ্ছতা আশা বিজয়ের। তিনি বলেন, ‘আসলে সবকিছুতে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। কেন দলে আছি, আমি কোথায় খেলছি, কী খেলছি। আমার কতটুকু সুযোগ-সুবিধা থাকছে, সব সময়েই প্রশ্ন থাকে। সবাই চাই, এসব প্রশ্ন সরে যাক। ভবিষ্যতে বোর্ড যেন আরও বেশি সুগঠিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ক্রিকেটাররা যেন ভালো সুযোগ-সুবিধা পাই, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
আগামীকাল পাকিস্তানের সঙ্গে দুটি চার দিনের ও তিন দিনের ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান রওনা দেওয়ার কথা ‘এ’ দল। যেখানে বিজয়ের নেতৃত্ব চার দিনের ম্যাচ খেলবে ‘এ’ দল। এই সফর নিয়ে বিজয় বেশ আশাবাদী, ‘এই সফরের পরেই আবার জাতীয় দলের সফর আছে টেস্ট সিরিজের। অনেক ক্রিকেটার ‘এ’ দলের সঙ্গে যাচ্ছে প্রস্তুতি নিতে। আমার মনে হয়, আসলে এই প্রস্তুতিটা জাতীয় দলে দারুণভাবে কাজে লাগবে। আশা করি, প্রথম বা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার পর (জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের) দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হবে। বাংলাদেশেরও অনেক দিন পর টেস্ট শুরু হচ্ছে। আশা করি, ফলপ্রসূ কিছু হতে পারে।’
দেশের ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন বিজয়। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের ক্রিকেট মজবুত করা জরুরি। সেখানে নির্বাচন হতে পারে, উইকেট হতে পারে। আর্থিক সুবিধা হতে পারে, সেখানে মোটিভেশন হতে পারে, সেখানে ফ্যাসিলিটি হতে পারে। আমরা থেকে মনে হয়, রুট থেকে কাজ করা জরুরি। ঢাকাকেন্দ্রিক ক্রিকেট খেলি আমরা। প্রতিটি জেলায় ক্রিকেট পরিচালনার কাঠামো থাকা জরুরি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।