জুমবাংলা ডেস্ক: বিড়াল ছানা হত্যা মামলায় প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে ইশরাত জাহান মেহ্জাবিন নামে এক কিশোরীর বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেদ ইমাম এ চার্জশিটটি গ্রহণ করেন। মামলার বিচারের লক্ষে শিগগিরই এ চার্জশিট ঢাকার শিশু আদালতে বদলী করা হবে।
এদিন চার্জশিটভুক্ত আসামি রাজধানীর গোপীবাগের মো. ইকবাল হোসেনের মেয়ে ইশরাত জাহান মেহ্জাবিনের আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ১২ জুন আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইন, ১৯২০ এর ৭ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণ হলে আসামির অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এরও আগে গত বছরের ১০ মে প্রাণী হত্যায় দায়ে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সাজা দেন আদালত। দুটি মা কুকুরকে পিটিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় ও ১৪টি দুধের বাচ্চাকে জীবিত পুঁতে ফেলার ওই মামলায় রামপুরার বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তা কর্মী ছিদ্দিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। এরও আগে দু একটি মামলায় অর্থদণ্ড হলেও সাজার নজির নেই।
কিশোরীর বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিটে বলা হয়, রাজধানীর গোপীবাগের মো. ইকবাল হোসেনের মেয়ে ইশরাত জাহান মেহ্জাবিনের (১৭) বাসার খাটের নিটে গত ১৭ মে একটি বড় বিড়াল দুই থেকে তিন দিন বয়সী একটি বিড়াল ছানাকে রেখে যায়।
ওইদিন রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরী তার রুমে রেক্সিনের কাগজের ওপর প্লাস্টিকের পাইপ ও লোহার চাকু দিয়ে বিড়ালটিকে হত্যা করে। বিড়াল ছানাটি হত্যার সময় কিশোরী তার মোবাইলে সেই দৃশ্য ভিডিও করে। এরপর বিড়াল ছানাটির মৃতদেহ এবং প্লাস্টিকের পাইপটি একটি পলিথিনে ভরে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়।
পরদিন ময়লাওয়ালা ময়লা নেয়ার সময় ঝুড়ি থেকে ওগুলো নিয়ে যায়। এরপর ১৯ মার্চ রাতে ওই সে তার ফেসবুক আইডিতে বিড়াল ছানা হত্যার ভিডিওটি আপলোড করে। আবার ওই রাতেই ভিডিওটি ডিলিট করে দেয়। চার্জশিটে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
বিড়াল ছাড়া হত্যার এ ঘটনায় গত ২১ মার্চ প্রাণী কল্যাণ সংগঠন কেয়ার ফর পস’র মহাসচিব মো. জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর মুগদা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে থানার এসআই নয়ন চন্দ্র দেবনাথ ওই কিশোরীকে একমাত্র আসামি করে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন। ওই কিশোরী প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে শিশু আদালতে বিচারের প্রার্থনা করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।