জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ভোমরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার ওই লম্পটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সময় সংবাদের কাছে এ কথা জানান জানান তারা।
ওই যুবক ভোমরা লক্ষ্মীদাড়ী এলাকার শহিদুল ইসলামের পুত্র মাসুদ হোসেন। রোববার নিজ বাড়ি থেকে মাসুদকে আটক করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভোমরা লক্ষ্মীদাড়ী এলাকার তালা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গতবছর তার চাচার বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে তাদের পরিচয় হয়।
মেয়ের বাবা অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে ২৭ মে ও ৩ ডিসেম্বর এবং ১৯ তারিখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই এলাকার মাসুদ তার কন্যাকে ধর্ষণ করে। ওইসময় কৌশলে কন্যার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ওই লম্পট মাসুদ। পরে ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীর পিতার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওইসময় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিছু ছবি দিলেও পরবর্তীতে আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। না দিলে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে লম্পট যুবকের বড় ভাইয়ের কাছে অভিযোগ দিলে তিনিও চাঁদা টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই লম্পট মাসুদের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন অ্যাপসে ছড়িয়ে দিতে থাকে।
অবশেষে ভুক্তভোগী মেয়ের পিতা বাদী হয়ে চলতি মাসের রবিবার (২৬ জুলাই) সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার নং ৯০। উক্ত মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত মাসুদকে ওইদিনই আটক করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।