বিয়ের ৩ মাস পরেই লা*শ হয়ে ফিরলেন প্রবাসী মাইনুল

জুমবাংলা ডেস্ক: প্রবাস থেকে লাশ হয়ে ফেরা টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর মাইনুল ইসলাম (৩২) ও মোহাম্মদ আলী (২৭) নামে দুই যুবকের জানাজা নামাজ শেষে দা*ফন সম্পন্ন হয়েছে। তাদের পৃথক জানাজা নামাজে মানুষের ঢল নেমেছিল।

শুক্রবার বাদ জুমা নিহতদের পৃথক গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দা*ফন করা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে তাদের লা*শ নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছালে এলাকার হাজারো নারী-পুরুষের ভিড় লেগে যায় নি*হতদের এক নজর দেখার জন্য।

মালয়েশিয়ায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে একই এলাকার ধনবাড়ীর যদুনাথপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা পাথালিয়া গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মাইনুল ও নলহারা আকন্দ বাড়ির আতাব আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী সড়ক দু*র্ঘটনায় গত রোববার গভীর রাতে নি*হত হন।

নিহত মাইনুলের পরিবারের সদস্য আ. মালেক জানান, মাইনুল গত এক যুগ ধরে মালেশিয়া প্রবাসী। তিনি সেখানে একটি ফার্নিচার ও ডেকোরেশন কোম্পানিতে কাজ করতেন। কিছু দিন আগে ছুটিতে এসে বিয়ে করেছেন তিনি। তিন মাস ছুটি কাটিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে মালেশিয়ায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন মাইনুল।

এদিকে নলহারার মোহাম্মদ আলীকে পরিবার বিদেশ পাঠিয়েছে এক বছর কয়েক দিন হয়েছে। তিনি মাইনুলের মাধ্যমে ওই কোম্পানিতে গিয়ে যোগ দেন।

মোহাম্মদ আলীর ভাতিজা মঞ্জুরুল ইসলাম মিলন ও চাচা ইউসুফ আলী জানান, মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলের মধ্যে একজন ধনবাড়ী কলেজিয়েট হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয় বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। বিদেশ যাওয়ার সময় মোহাম্মদ আলী জমি বিক্রি ও এনজিও থেকে বেশ কয়েক লাখ টাকার ঋণ করেন। তার মৃ*ত্যুতে পরিবার ঋণের চাপে পড়ে গেল।

মানবাধিকারকর্মী শহীদুল্লাহ ও জীবন মাহমুদ শক্তি জানান, পরিবারের সঙ্গে আশপাশের অসংখ্য নারী-পুরুষ লা*শ দুটির অপেক্ষায় ছিলেন। লা*শ বাড়ির আঙিনায় পৌঁছামাত্র স্বজনদের কান্নার শব্দে ভারি হয়ে যায় এলাকা। শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো গ্রামজুড়ে। শোকাহতদের সান্তনা দিতে থাকেন অনেকে। জু’মার নামাজের পর জানাজা নামাজে আশপাশের গ্রামের অসখ্য মানুষ যোগ দেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দা*ফন করা হয়।