জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগল কিশোর-কিশোরীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (০৩ জুলাই) রাত পৌনে এগারোটার দিকে পৌর শহরের চৌবাড়িয়া হারোপাড়া মহল্লায় কিশোরীর বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে যৌন উত্তেজক সিরাপ ও জন্মবিরতিকরণ সামগ্রী পাওয়া যায়।
আটক কিশোর পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ইউপি সদস্যের ছেলে ও অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। এছাড়া প্রেমিক কিশোরীর এ বছর স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ভাঙ্গুড়া সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের এক ইউপি সদস্যের পুত্র ও কলেজ ছাত্রের সাথে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এই সূত্র ধরে ওই কলেজছাত্র মাঝে মাঝেই কিশোরীর সঙ্গে বাড়িতে দেখা করতে আসে। এলাকাবাসী বিষয়টি কিশোরীর বাবাকে জানায় এবং একই সাথে ওই কলেজছাত্রকেও সতর্ক করে দেয়। এরপরেও শনিবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রেমিক কলেজছাত্র কিশোরীর বাড়িতে আসে। পরে সাড়ে দশটার দিকে এলাকাবাসী বাড়ি ঘেরাও করে কিশোর ও কিশোরীর পরিবারকে খবর দেয়। এসময় ওই কিশোর বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়।
পরে এলাকাবাসী বাড়িতে প্রবেশ করে কিশোরীর ঘর থেকে যৌন উত্তেজক সিরাপ ও জন্মবিরতিকরন সামগ্রী উদ্ধার করে। এরপর রাতেই বিষয়টি নিয়ে সমাধান করতে এলাকার প্রধানবর্গ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করেন। এতে কিশোর-কিশোরীকে বিয়ে দেয়ার বিষয়ে অনেকেই মতামত দেন। তবে দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার কারণে গভীর রাত পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন উভয় পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী ওই প্রেমিক যুগলকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
কিশোরী বলেন, আটক কলেজছাত্রের সঙ্গে তার আড়াই বছর ধরে প্রেম চলছে। তবে এদিন রাত্রে সে মোবাইল সারাতে তাকে বাড়িতে ডেকেছিল। এখন সে ওই কলেজ ছাত্রকে বিয়ে করতে চায় বলেও জানায়।
তবে এ বিষয়ে আটক কলেজছাত্র কোনো কথা বলতে চায়নি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভবানীপুর গ্রামের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য সালিশ বৈঠক বসানো হয়। তবে সমাধান করতে না পেরে কিশোর কিশোরীকে পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়। এখন তারা আইনি সিদ্ধান্ত নিবেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই নুরজাহান খাতুন বলেন, এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়া প্রেমিকযুগল এখন থানায় আছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।