সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাজসজ্জা ডেকোরেশন শেষ। বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজন। বাবুচ্চিরা পোলয়া-বিরানি মাংশ রান্নায় ব্যস্ত। বর আসার অপেক্ষায় সবাই। এমন মুহূর্তে হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন পুলিশ নিয়ে উপস্থিত। মুহূর্তের মধ্যেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পালিয়ে যায় আত্মীয়-স্বজনরা। বন্ধ হয়ে যায় বাল্যবিবাহ।
ঘটনাটি সাতক্ষীরার কালিগজ্ঞ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাঁটাই গ্রামের।
স্থানীয়রা জানান, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নেঙ্গী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের (২৩) সঙ্গে গত দেড় মাস আগে চাটাই গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে রুবিনা খানমকে (১৪) গোপনে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে সে সময় বিয়ের কোন আনুষ্ঠানিকতা হয়নি। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার দিনক্ষণ ঠিক হয়। সে অনুযায়ী দাওয়াত দেওয়া হয় আত্মীয়-স্বজনদের। দুপুরে বরপক্ষের আসার কথা ছিল। তার আগেই বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ছুটে আসেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, রুবিনা খানম স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে তার পিতাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।