জুমবাংলা ডেস্ক: উন্নত জাতের সিডলেস বা বিচিবিহীন চায়না-৩ জাতের লেবু চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কুটিয়া লক্ষীপুর গ্রামের এক যুবক। তার পরিবারে ফিরেছে সুদিন, হচ্ছে অন্যদের কর্মসংস্থানও। উপজেলার অন্য কৃষকরাও এই লেবু বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে আগ্রহী।
কচুয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কুটিয়া লক্ষীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে যুবক সাদ্দাম হোসেন ৩৪ শতাংশ জমি প্রায় ৩লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভরাট করে গত বছরের প্রথম দিকে শুরু করেন উন্নত জাতের বিচিবিহীন লেবুর চাষ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাগানে বাম্পার ফলন দেখা গেছে। লেবু গাছে থোকায় থোকায় লেবুতে ভরে গেছে। সাদ্দাম হোসেনের এই সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকার অনেক যুবক লেবু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এলাকার অনেকেই এই লেবু বাগান দেখতে এসেছেন। অনেকে তাদের জমিতেও এই লেবু বাগান করতে চান।
লেবু চাষী মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, অনেকে আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসে। আমি তাদের সিডলেস বা বিচিবিহীন এই জাতের লেবু বাগান করতে বলি। এতে অনেক বেশি ফলন। আমি লেবুর চারা বানিয়েছি। কেউ চারা,কলপ ও পরামর্শ নিতে আসলে আমি তাদেরকে পরামর্শ দেই। এখান থেকে লেবুর কাটিং সংগ্রহ করে অন্যরা লেবু চাষ করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, কৃষকেরা যদি এই লেবু চাষে উদ্বুদ্ধ হন তাহলে আমাদের ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ হবে। সবাইকে এই লেবুর বাগান করার পরামর্শ দিচ্ছি। এই সিডলেস বা বিচিবিহীন লেবুর চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন। এটি সারা উপজেলায় চাষাবাদ হলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি যারা লেবু চাষ করতে চান তাহলে যুবক সাদ্দাম হোসেনের লেবু বাগান থেকে কাটিং সংগ্রহ করতে বসতবাড়ির আঙ্গিনা করতে পারা যায় তাহলে পারিবারিক চাহিদা মেটানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।