জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান তিনি। ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর মাস গড়িয়ে গেলেও তদন্তে অগ্রগতি না দেখে ফারদিনের পরিবার ও তার সহপাঠীদের অসন্তোষের মধ্যে এ ধারণা দেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
হারুন বলেন, বিভিন্ন আলামত পর্যবেক্ষণ করে আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি (ফারদিন) আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ময়নাতদন্তকারী ডাক্তারের সঙ্গেও কথা বলেছি, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখেছি। সার্বিক দিক দেখে মনে হয়েছে, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা।
তবে কী কারণে এই বুয়েটছাত্র আত্মহত্যা করতে পারেন, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে চাননি তিনি।
এদিকে ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে ছায়াতদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলারও অগ্রগতি হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে আজ রাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে র্যাব। এর মধ্যেই ফারদিন আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে জানালেন ডিবিপ্রধান।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা থেকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় যান বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ। নিখোঁজের তিনদিন পর (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।
এ ঘটনায় ফারদিনের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিনকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।