আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোমতি নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের জন্য। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ডুম্বর জ্বলাশয়ের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলে খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁধের গেট।
রাজ্যের চারটি নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ পরিবার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত ত্রিপুরায় সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সংবাদমাধ্যম জিনিউজ আজ বুধবার এসব তথ্য জানিয়ে প্রতিবেদনে বলেছে, বন্যার কারণে ডুম্বুর জলবিদ্যৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই পানি ঢুকছে বাংলাদেশে।
প্রতিবেদন বলছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যের দক্ষিণ ত্রিপুরা ও গোমতী জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাগাফায় ৩৭৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার, বেলোনিয়ায় ৩২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার এবং অমরপুরে ৩০৭ দশমিক ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। হাওড়া, ধলাই, মুহুরি ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ত্রিপুরার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হাওড়া নদী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়, ধলাই নদী মৌলভীবাজারে, মুহুরি নদী ফেনী জেলায় এবং খোয়াই নদী সিলেটে প্রবেশ করেছে।
নিউজ এইটটিন লিখেছে, শেষ বারের মতো ১৯৯৩ সালে খোলা হয়েছিল ডুম্বর জলাধারের গেট। আবার ২০২৪ সালে তা খোলা হল।
সোমবার দুপুর থেকে তিন দিন ধরে ত্রিপুরা উত্তর জেলার সদর ধর্মনগরে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। এই বৃষ্টিপাতে ধর্মনগর শহরের বিভিন্ন এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিঘার পর বিঘা জমি প্লাবিত হওয়ায় পানির নীচে চলে গেছে।
এদিকে, সিকিমে ভয়াবহ ভূমিধসে তিস্তা বাঁধ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার সকালে ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন (এনএইচপিসি) তিস্তা স্টেজ ৫ বাঁধের বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।ভারী
বৃষ্টির কারণে এই ভূমিধস ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ধ্বংসের সেই মুহূর্তের ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেছেন স্থানীয়রা। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নামছে সিকিমের ওই অঞ্চলে। এতে স্বাভাবিকভাবেই ৫১০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দীপু দারা কেন্দ্রটিকে নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়। খালি করে দেওয়া হয়েছিল এলাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।