স্পোর্টস ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয়ে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে আটলান্টাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল জিনেদিন জিদানের দল রিয়াল মাদ্রিদ।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাতে আলফ্রেডো ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রতিযোগিতার সফলতম দলটি। প্রথম দেখায় ইতালিয়ান ক্লাবটির মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা।
প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, খেলতে হবে আক্রমণাত্মক-এমন ফুটবল দর্শনেই পরিচিত হয়ে উঠেছে আটলান্টা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সেই কৌশলে সুবিধা করতে পারল না গত আসরে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে চমকে দেওয়া দলটি।
করিম বেনজেমার গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান সার্জিও রামোস। শেষ দিকে লুইস মুরিয়েল ব্যবধান কমানোর পর রিয়ালের তৃতীয় গোলটি করেন মার্কো আসেনসিও।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আটলান্টা এগিয়ে যেতে পারতো দ্বিতীয় মিনিটেই। তবে ছয় গজ বক্সের মুখে বল পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি রবিন গোসেন্স।
আক্রমণের শুরুর ঝাপটা সামলে ধীরে ধীরে পাল্টা আক্রমণে উঠতে শুরু করে রিয়াল। তবে প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না তারা। ২৭তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় স্বাগতিকরা; কিন্তু ডি-বক্সে বেনজেমার কাটব্যাক ভিনিসিউস জুনিয়র ফাঁকায় পেয়েও প্রথম প্রচেষ্টায় শট নিতে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হতে হয়।
প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলের সুযোগে ৩৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে মার্কো স্পোর্তিয়েল্লো সরাসরি তুলে দেন সামনে লুকা মদ্রিচের পায়ে। ক্রোয়াট এই মিডফিল্ডার দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে বাঁয়ে ফাঁকায় বেনজেমাকে খুঁজে নেন। আর ডান পায়ের নিচু শটে বল জালে পাঠান তিনি।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন বেনজেমা। সব মিলিয়ে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় বেনজেমার গোল হলো ৭০টি। আর একটি করলেই উঠে বসবেন সাবেক রেকর্ড গোলদাতা ও বর্তমানে তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা রাউল গনসালেসের পাশে।
৫৮তম মিনিটে ডি-বক্সে রামোসকে ফাউল করেন রাফায়েল তোলোই। পেনাল্টি দেন রেফারি। সফল স্পট কিক থেকে নিজেই গোল করে রিয়ালের শেষ আটের পথ সুগম করেন অধিনায়ক রামোস।
ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া আটলান্তা একের পর এক প্রচেষ্টায় অবশেষে ৮৪তম মিনিটে কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়। দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে রক্ষণ প্রাচীরের ওপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড মুরিয়েল।
তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা অবশ্য শেষ হয়ে যায় পরের মিনিটেই। লুকাস ভাসকেসের পাস ধরে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান দুই মিনিট আগেই বদলি নামা মার্কো আসেনসিও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।