জুমবাংলা ডেস্ক : আজ ১৭ মে পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ২৬৮ জনে। মৃত্যু হয়েছে ৩২৮ জনের।
আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে মোট আক্রান্ত রোগীর ৮৫ শতাংশ ঢাকা বিভাগের। আর ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানী ঢাকা সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। রাজধানী ঢাকার মধ্যে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা সংক্রমণের হটস্পট হলেও এসব এলাকার মানুষ বেপরোয়া। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে যখন-তখন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় বের হচ্ছেন তারা। বিশেষত অল্প বয়সী তরুণরা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ঘোরাফেরা করছেন। নগরীর অন্যান্য এলাকার তুলনায় পুরান ঢাকার রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল অনেক বেশি।
আজ (১৭ মে) বিকালে লালবাগ, চকবাজার, চানখারপুল, নাজিমুদ্দিন রোড, জেলখানা রোড, সাতরওজা, বংশাল, কাজী আলাউদ্দিন রোডসহ বেশ কিছু এলাকায় দেখা গেছে রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। বেশিরভাগ লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বালাই নেই। রাস্তাঘাটের কোথাও কোথাও রীতিমতো যানজট তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আগে যেমন হইচই চিৎকার-চেচামেচি শোনা যেত, এমনই চিৎকার-চেচামেচি আজও শুনতে পাওয়া যায়।
দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় হোটেলে ও রাস্তার পাশে ফুটপাতে ইফতারসামগ্রী সাজিয়ে বসে দোকানিরা। এছাড়া বিভিন্ন ফলমূল, শাকসবজি ও স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদি পণ্য বিক্রেতারা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। দৃশ্যত দেখে বিন্দুমাত্র বোঝার উপায় নেই এসব এলাকা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করার পরও পুরান ঢাকার লোকজন তা মানছে না। নানা উসিলায় ঘরের বাইরে বের হওয়া তাদের জন্য চরম ঝুঁকি তৈরি করছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।