বেলজিয়াম ফুটবলের সোনালি প্রজন্মের ম্যানেজার রবার্তো মার্তিনেজ ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেন। তার অধীনে থাকা বেলজিয়াম নিজেদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য পেয়েছিল ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে; সেবার তৃতীয় হয়েছিলো বেলজিয়ানরা। আর, ২০২০ এর ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে বিদায় নেন ডি ব্রুইনারা।
ক্রোয়েশিয়ার সাথে ড্র করে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বেলজিয়ামের ম্যানেজারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রবার্তো মার্তিনেজ। গত ছয় বছর বেলজিয়ামের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আসলে বেলজিয়াম শেষ ম্যাচ জিতলে সহজে গ্রুপ পর্ব উতরে যেতে পারতো। কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় সেটা আর সম্ভব হলো না। কাতারে ও দেশের মধ্যে থাকা বেলজিয়ামের ভক্তদের কাদতে হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপ তাদের চূড়ান্ত হতাশা উপহার দিয়েছে।
বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের এ ধরনের ব্যর্থতার পেছনে কিছু কারণ অনুসন্ধান করা যাক। এ দলের ফরওয়ার্ড এর খেলোয়াড়রা ডিফেন্ডারদের যোগ্য মনে করেন না। মিডিয়ার সামনে ডিফেন্ডারদের হেয় করে কথা বলা হয়েছে। ডিফেন্ডাররা অনেক ধীর গতির, দ্রুত গতির স্ট্রাইকারদের থামাতে তারা সফল নন।
তবে বেলজিয়ামের ডিফেন্ডাররা অন্য কথা বলছেন। তারা মনে করেন, এ দলের স্ট্রাইকাররা তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছেন না। এ কারণে পযার্প্ত গোল হচ্ছে না। বেলজিয়ামের খেলোয়াড়দের এ ধরনের আচরণে এটা স্পষ্ট যে, তাদের মধ্যে কোন একতা নেই।
বেলজিয়াম ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অর্ন্তকোন্দল রয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপোড়ার অভাব রয়েছে ও মনোমালিন্যতা স্পষ্ট। এজন্য বেলজিয়াম দলের ড্রেসিং রুমের পরিবেশ ঠিক নেই। কোচ মার্তিনেজের স্কোয়াড নিয়ে অনেক প্লেয়ার অসন্তুষ্ট ছিলেন।
তাছাড়া দলে ফিটনেস ও ইনজুরি সংক্রান্ত সমস্যা ছিলো। অনেক প্লেয়ার ফর্মে ছিলো না। উদাহরণ হিসেবে হেজার্ড ও লুকাকু এর কথা বলা যায়। সর্বশেষ ম্যাচে লুকাকু যেভাবে গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন, সেখানে এটা স্পষ্ট যে, তিনি ফর্মে নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।