প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী উদ্যোগের (স্টার্টআপ) জগতে ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন জনপ্রিয় একটি নাম। রিচার্ড স্পেস পারস্পেকটিভের বেলুন নিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রান্তে যাওয়ার একটি অভিযানে নেমেছেন। বেলুনের কো-পাইলট হিসেবে বায়ুমণ্ডলের শেষ প্রান্তে যাবেন রিচার্ড ব্র্যানসন।
এর আগে রিচার্ড ব্র্যানসন ১৯৮৭ ও ১৯৯১ সালে আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে রেকর্ড করা হট-এয়ার বেলুন উড়িয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাভিত্তিক বেলুন কোম্পানি স্পেস পারস্পেকটিভ বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে বেলুন পাঠাতে কাজ করছে। তারা বিশালাকার, হাইড্রোজেন ভরা বেলুন দিয়ে স্পেসশিপ নেপচুন নামের আটজন যাত্রীবহনকারী একটি ক্যাপসুল স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে পাঠাবে। রিচার্ড স্পেস পারস্পেকটিভের বেলুনে চড়ে কো-পাইলট হিসেবে কাজ করবেন। ২০২৫ সালের যেকোনো এক সময় বেলুন নিয়ে অভিযানে বের হবেন রিচার্ড।
বেশ কিছু দুর্দান্ত পরীক্ষামূলক উড়ানে অংশ নেবেন রিচার্ড। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের দুর্দান্ত কিছু অভিজ্ঞতা বেলুন অভিযানে পেয়েছি। আবারও যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। এখন পর্যন্ত ব্র্যানসন মহাকাশের জন্য অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। বিভিন্ন অভিযানের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছেন তিনি। ভার্জিন গ্যালাকটিক বা ব্লু অরিজিন মহাকাশ সংস্থার চেয়ে এই বেলুন অভিযান বেশ আলাদা। স্পেস পারস্পেকটিভের বেলুন ফ্লাইট দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালনা করা হবে। বাতাসের গড় গতিতে বেলুন ভ্রমণ করবে আর পুরো অভিযান প্রায় ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হবে।
স্পেসশিপ নেপচুন দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য নকশা করা হয়েছে। এই বেলুনে ঘুরে বেড়ানোর জন্য যথেষ্ট বড় জায়গা আছে। এমনকি এতে বাথরুমও রয়েছে। স্পেসশিপ নেপচুন ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ মাইল উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছাবে। সেখান থেকে একদিকে নীল পৃথিবী আর অন্য দিকে অন্ধকার মহাকাশের সীমানার দেখা পাবেন অভিযাত্রীরা। একই অভিযানে ব্র্যানসনের সঙ্গে থাকবেন স্পেস পারস্পেকটিভের সহপ্রতিষ্ঠাতা ট্যাবার ম্যাককলাম ও জেন পয়ন্টার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।