জুমবাংলা ডেস্ক : দেরিতে হলেও, করোনা টেস্ট ও চিকিৎসা শুরু করতে যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল। বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক মালিকদের সংগঠন বিপিসিডিওএ জানিয়েছে দুই সপ্তাহের মধ্যে ১২শো শয্যা নিয়ে কোভিড-১৯ রোগিদের সেবা দেয়া শুরু করবে রাজধানীর দুটি হাসপাতাল। আর, সরকারের অনুমতি ও কিট হাতে পেলে শিগগিরি পরীক্ষার শুরু করবে ল্যাবএইড ও শমরিতা হাসপাতাল। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার পরীক্ষা, চিকিৎসার ফি নির্ধারণ ও মনিটরিং করতে হবে সরকারকে।
নমুনা পরীক্ষার পরিধি বাড়ার সাথে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এরইমধ্যে হাজার ছাড়িয়েছে রোগী, আর মৃত্যু অর্ধশত।
ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সরকারি হাসপাতাল। পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ও আইসিইউর অভাবে ঘনীভূত হচ্ছে সংকট। কিন্তু, দেশের ভীষণ এই দুঃসময়ে নামিদামী বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা কি? উচ্চমানের ল্যাব ও আইসিইউ সুবিধার কথা প্রচার করে যারা ব্যবসা করে আসলো, তারা কতখানি পাশে দাঁড়ালো জনসাধারণের?
এই প্রশ্নের উত্তরে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসরকারি হাসপাতাল গড়িমসি করলেও, শুরু থেকেই তাদের সম্পৃক্ত করার দায়িত্ব ছিলো সরকারের।
বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. তৌফিক জোয়ার্দার বলেন, প্রাইভেট হাসপাতাল বলেই সে যা খুশি তাই করতে পারবে তা কিন্তু না। কারণ মানুষের স্বাস্থ্য শুধুমাত্র টাকার কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না। এজন্য মিনিস্ট্রি অফ হেলথের একটা নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ আছে। তাই প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোকে বন্ধ করে নয় বরং তাদেরকে আস্থায় নিয়ে এসে, তাদের যে রিসোর্সগুলো আছে সেগুলো যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে আমার মনে হয় সব থেকে বেশি ভাল হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফায়েজ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আলোকে বাংলাদেশ সরকারও চিকিৎসার গাইডলাইন করেছে। সেই গাইডলাইন অনুসরণ করলে তারাও চিকিৎসা করতে পারবেন।
বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন বিপিসিডিওএ- এর তথ্য মতে, দেশে বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৭ হাজার। যাতে আইসিইউ সুবিধা আছে প্রায় ৫০০০ বেডের। সংগঠনটি বলছে, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু করবে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন ও শাহাবুদ্দিন মেডিকেল। যাতে প্রস্তুত আছে ১২শ শয্যা।
আরো ৫টি বেসরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত হচ্ছে বলেও জানান বিপিসিডিওএ- এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভুইয়া। তিনি বলেন, যদি আমরা ২টা দেই, ২টার পরে ৩টা, তারপরে ৪টা এভাবে ক্রমান্বয়ে প্রয়োজন অনুসারে বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। করোনা টেস্টের জন্য পিসিআর মেশিনের প্রয়োজন হয়। ল্যাবএইড এ একটি ও সমরিতায় একটি পিসিআর মেশিনে রয়েছে। তাদের সাথে কথা হয়েছে, তাঁরা প্রস্তুত আছে। কিট পেলেই তাঁরা শুরু করে দিতে পারবে।
বিপিসিডিওএ জানায়, করোনা ভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নেয়া হবে।
আর, প্রয়োজনে সরকারের ভর্তুকি দেয়ার পরামর্শ বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. তৌফিক জোয়ার্দারের।
তথ্যসূত্র : চ্যানেল২৪
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel