জুমবাংলা ডেস্ক: বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় দেশব্যাপী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত জানানোর পরপরই রাজশাহীতে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও লাইটের দাম। এরই মধ্যে রাজশাহীর বাজার থেকে উধাও চার্জার ফ্যানের ব্যাটারিও। আইপিএস ও পাওয়ার ব্যাংকের ক্রেতাও বেড়েছে অনেক। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে ক্রেতারা। মাল না পেয়ে কেউ কেউ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) নগরীর সাহেব বাজার, নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ চার্জার ফ্যান, লাইট কিনতে ভিড় করেছেন দোকানে। নগরীর প্রায় প্রতিটি দোকানেই ভিড় দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বাড়তে থাকায় কোম্পানিও দাম বাড়িয়েছে। প্রতিদিন পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। অর্ডার দিয়েও মালামাল পাওয়া যাচ্ছে না। পূর্বের অর্ডারও বাতিল করে দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহে চার্জার ফ্যানের দাম ৪০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
নগরীর আবতাহী ইলেকট্রনিকসের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, চার্জার ফ্যান-লাইটের দামই বেড়েছে শুধু। অন্য ইলেকট্রনিকস পণ্যের দাম আগের মতই রয়েছে। ঢাকায় মালের অর্ডার দিয়ে পাচ্ছি না। প্রতিবার অর্ডারে ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। অর্ডার মতো মালও পাচ্ছি না। যেহেতু বেশি দামে মাল কিনতে হচ্ছে; তাই বিক্রিও করছি বেশি দামে।
নগরীর দেব ইলেকট্রনিকসের মালিক দীপক দাস বলেন, সপ্তাহখানেক ধরেই এ ক্রাইসিস চলছে। অর্ডার দিয়ে চার্জার ফ্যান পাচ্ছি না। তাই বিক্রি বন্ধ রেখেছি।
ক্রেতারা বলছেন, প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে চার্জার ফ্যান, লাইট কিনতে এসেছেন। কিন্তু এখানেও দামে স্বস্তি নেই। বাড়তি চাহিদার তোকমা লাগিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। মোবাইল চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংকের দামও চড়া।
নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছিলেন সজিব হোসেন। তিনি বলেন, বাসায় আমার ছোট শিশুসন্তান আছে। গরমের কারণে শিশুর জন্য আগেই একটা চার্জার ফ্যান কিনেছিলেন। ওইটার ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। বাজার ঘুরে কোনও দোকানে ব্যাটারি পেলাম না। অবশেষে এক দোকানি দিতে চাইলেন, কিন্তু ৪০০ টাকার ব্যাটারির দাম চাইছেন ৯০০। তাই নতুন একটা ফ্যান কিনতে চাইলাম। এসে দেখি দাম চড়া। তাই না কিনে ফিরে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।