কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো শিক্ষার্থীদের বাস সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় বাস বৃদ্ধির আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ১৯ টি বিভাগে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরিবহণ পুলে যুক্ত হয়নি একটি বাসও। শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
বাসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা পরিবহন পুলে, বাস সংক্রান্ত মতামতের প্ল্যাটফরম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করলেও নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করছে প্রশাসন।
বিআরটিসি এবং কুবি প্রশাসনের উদাসীনতায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। ফিটনেস বিহীন, নষ্ট গাড়ি পাঠিয়ে দায়সাড়া ভাবে চুক্তি রক্ষা করছে বিআরটিসি আর এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী অভিযোগ করলেও কোন পদক্ষেপ নেয় নি পরিবহন সেক্টর। বিআরটিসি বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকার কথা থাকলেও কয়েকটি ছাড়া বাকি বাসগুলোতে নামের কোন চিহ্ন নেই।
বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত লাল বাস রয়েছে ১১ টি, যার বেশির ভাগেরই নেই ফিটনেস। কুবির নিজস্ব বাস রয়েছে ৫ টি তার মধ্যে একটি বাস নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় ৩/৪ মাস আগ থেকে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ঋতু বলেন, শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাস সংখ্যা অপ্রতুল। সকাল সকাল কোনোভাবে দাঁড়িয়ে বাসে আসলেও দিনশেষে বাসে দাঁড়িয়ে ফেরা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। নতুন ব্যাচ আসায় তো এখন বাসে দাঁড়ানোর জায়গাও পাওয়া যায় না।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এ এম নুর উদ্দীন হোসাইন বলেন, “বাস সংকট কুবিতে দীর্ঘদিনের। এটার জন্য স্বারকলিপি কিংবা আন্দোলনও কম হয়নি।
বিভিন্ন সময় আন্দোলন থামাতে প্রশাসন থেকে বাস বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কুবিতে আসবে ৮টি দোতলা বাস। কিন্তু আশ্বাস শুধু আশ্বাসেই রয়ে গেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
পরিবহন পুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল আলম বলেন, “বাসের ট্রীপ ৫৮ থেকে ৭০ টা করা হয়েছে। বাসের সংখ্যা না বাড়লেও ট্রিপ বাড়িয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। বাস ড্রাইভারের সংকটও রয়েছে আমাদের, বাস বাড়ানোর সাথে সাথে বাস ড্রাইভারও বাড়ানো হবে। দেখা যাচ্ছে কোনো ড্রাইভার অসুস্থ হলে সেই ড্রাইভারের রিপ্লেসে অন্য ড্রাইভার নাই।
পরিবহন পুলের উপদেষ্টা জনাব মো. এমদাদুল হক বলেন,”জানুয়ারি-ফ্রেবুয়ারিতে বাসের উপর অনেক চাপ পড়ে এবং পরবর্তীতে চাপটা কমে যায়। প্রশাসন এই বিষয়টা নজরে রেখেছে। তিনটা বাস কেনার টেন্ডার আহ্বান করার কাজ শেষ হয়েছে। আপদকালীন সমস্যা সমাধানে আমরা আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।