জুমবাংলা ডেস্ক : একদিকে করোনার করাল গ্রাসে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ, অন্যদিকে ‘মরার উপর খরার ঘা’ এর মতো যোগ হয়েছে মুনাফালোভী সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের অসাধু ব্যাসায়ীরা পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই নানা অজুহাতে বাড়িয়ে দিচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে
বাজারে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন মধ্যবিত্তরা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার মাস শুরু হওয়ার ৭ দিন আগেই চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, আটা, ময়দাসহ অন্তত ১৫ ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এরমধ্যে কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে ছোলা ও খেজুরের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষেরা।
বাজারে গত এক মাসে অস্বাভাবিক বেড়েছে পেঁয়াজ-আদা ও রসুনের দাম।
সরু চালের দামও বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। একইভাবে এই এক মাসের ব্যবধানে ময়দার (খোলা) দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। পেঁয়াজের দাম ৩০ শতাংশের বেশি, আর রসুনের দাম বেড়েছে ৬৪ শতাংশ। রমজান মাসের অতি প্রয়োজনীয় খেজুর কেজিতে ২৩ শতাংশ, ছোলা কেজিতে ১৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
এছাড়া শুকনো মরিচ ২৮ শতাংশ, হলুদ ২৬ শতাংশ, আদা ১৩০ শতাংশ, লবঙ্গ ১৬ শতাংশ, তেজপাতার ২২ শতাংশ দাম বেড়েছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় এখন সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। পাম তেলের (খোলা) দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। পাম (সুপার) তেলের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ। এক বছরের তুলনায় চিনির দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর (খোলা) সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। আর এক লিটারের বোতলের সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। পাম অয়েলের দাম বেড়েছে লিটারে ১০ টাকা পর্যন্ত।
বড় দানার মসুরের ডাল খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৭৫-৮৫ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা। আর ছোট দানার মসুরের ডালের দাম বেড়ে হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১০০-১০৫ টাকার মধ্যে।
দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে অ্যাংকর, ছোলা ও মুগ ডাল। বাজার ও মানভেদে অ্যাংকর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫-৪০ টাকা। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৭০-৭৫ টাকা। আর ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুগ ডালের দাম বেড়ে ১৪০-১৫০ টাকা হয়েছে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel